Homeসব খবরজেলার খবরহাঁস পালনে স্বাবলম্বী হচ্ছেন নারীরা

হাঁস পালনে স্বাবলম্বী হচ্ছেন নারীরা

সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তুলেছেন কুড়িগ্রামের নারীরা। তারা সংসারের কাজ কর্মের পাশাপাশি হাঁস পালন করে নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলেছেন। বিশেষ করে চরাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী এলাকার নারীরা হাঁস পালন করে পরিবারে আয়ের উৎস তৈরী করেছেন।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের মিলপাড়া গ্রামের সুলতানা পারভীন ৫০টি হাঁসের বাচ্চা পালন করা শুরু করেন। তার স্বামী ঢাকায় একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। স্বামীর উপার্জনে কোনো রকমে সংসার চললেও কিছুটা টানাপোড়ন থেকে যায়। তাই হাঁস পালন করে সংসারে বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা করছেন।

জেলা শহর থেকে একেকটি বাচ্চা ৩০ টাকা করে কিনে নিয়ে আসেন। তার বাড়ির আশেপাশে পুকুরে ও খোলা মাঠে ছেড়ে দেন। হাঁসের বাসস্থান হিসেবে বাঁশের তৈরী ঘর বানান। এভাবেই অল্প ব্যয়ে হাঁস গুলোকে বড় করতে থাকেন। ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাসে হাঁস পরিপক্ব হয়ে যায়। এগুলো থেকে পাওয়া যায় ডিম ও হাঁস ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি করা যায়।

মিলপাড়া গ্রামের সাজিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী বাড়িতে পালন করার জন্য ১০০ হাঁস এনে দিয়েছেন। প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাস সময় লেগেছে হাঁসগুলোকে বড় করতে। ১০০ হাঁস পালনে আমার খরচ হয়েছে ১২-১৩ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকার হাঁস বিক্রি করতে পেরেছি। আরো ১০ হাঁস রয়ে গেছে। হাঁস পালনে খরচ কম। হাঁস পালন করলে অভাব অনেকটা দূর হয়ে যায়।

কুড়িগ্রামের হাঁস-মুরগি উন্নয়ন কর্মকর্তারা জানান, অনেক খামারিরাই এখান থেকে হাঁসের বাচ্চা নিয়ে যায়। চাহিদার সময় এখানেই ৭-৮ হাজার বাচ্চা উৎপাদন হয়। এ জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায়ও বাচ্চা পাঠানো হয়।

জানা যায়, জেলায় ৫৩৮টি ডিম দেয়া হাঁসের খামার রয়েছে। আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারে প্রতিটি হাঁসের বাচ্চা ২০ টাকা ও প্রতিটি ডিম সাড়ে ৭ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানান, হাঁস পালনে বাড়তি খাবার লাগে না। উন্মুক্ত নিচু জমি ও জলাশয় থাকলেই হয়। হাঁস সহজেই পালন করা যায়। খুব অল্প সময়েই হাঁসে পরিপক্ব হয়ে যায়। ফলে দামও ভালো পাওয়া যায়। অনেক খামারি বছরে ২-৩ বার হাঁস পালন করেন এবং বিক্রিও করেন।

Advertisement