Homeসব খবরজেলার খবরহাঁস পালনে স্বাবলম্বী হচ্ছেন খামারিরা!

হাঁস পালনে স্বাবলম্বী হচ্ছেন খামারিরা!

কম খরচে বেশি লাভজনক হওয়ায় অনেকেই হাঁস চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছে। এ উপজেলার অনেক মানুষ বিল-জলাশয় ও নদীর উন্মুক্ত পানি থাকায় হাঁস চাষ করে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হতে পারছেন। এ উপজেলায় হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছে অনেক পরিবার।

নাটোরের সিংড়ায় ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক হাঁসের খামার রয়েছে। এসব খামারে ক্যাম্বেল, ইন্ডিয়ান রানার ও চায়না জাতের ১০ লাখের বেশি হাঁস পালন করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে ক্যাম্বেল জাতের হাঁস বেশি পালন করা হয়। কারন এ জাতের হাঁসের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ও বেশি ডিম দিয়ে থাকে। মূলত হাঁসের ডিম বিক্রি করেই সংসারের খরচ মেটায় এসব পরিবার। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের অনেক পরিবার হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছে।

উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, আমি দিনমজুরি করতাম। আমার সংসারে ৬ জন মানুষ আছে। এই দিনমজুরি করে সংসার চালান সম্ভব না। তাই বাড়ির প্রতিবেশির কাছ থেকে টাকা ধার করে হাঁস পালন শুরু করি। ডিম দিচ্ছে ৪৮০টি হাঁস। বছরে খরচ বাদে লাভ হচ্ছে ৩-৪ লাখ টাকা। এখন আমার খামারে ক্যাম্বেল ও জিংডিং জাতের ৫৮২টি হাঁস রয়েছে।

কালিনগর গ্রামের মন্টু আলী বলেন, সমিতি থেকে লোন নিয়ে হাঁস পালন শুরু করি। হাঁস পালন করে সংসার চালাই। গত বছর কলেরা রো’গে ২০০টির মতো হাঁস মা’রা যায়। অনেক লোকসান হয়ে ছিল। তবে বর্তমানে নতুন ৭০০টি হাঁস কিনে পালন শুরু করেছি। ডিম বিক্রি করে লোকসান পুষিয়ে নিচ্ছি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কে এম ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, হাঁস পালন করে এই উপজেলার খামারিরা দিন দিন স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। হাঁস থেকে ৬ মাস পর পর দিম দাওয়া যায়। প্রতিটি হাঁস বছরে ২০০-৩০০টি ডিম দেয়। এছাড়া আমরা খামারিদের সকল ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি। উন্মুক্ত জলাশয়ে বাড়তি খাবার কম লাগে। ফলে হাঁস পালনে পূঁজিও কম লাগে এবং লাভ বেশি হয়।

Advertisement