Homeসব খবরবিনোদনহঠাৎ দেখা পরী-টুনির

হঠাৎ দেখা পরী-টুনির

অভিনেত্রী ফারহানা মিলি ও শারমীন জোহা শশী দু’জনই দর্শকের কাছে দু’টি নামে পরিচিত। ফারহানা মিলি পরিচিত পরী নামে এবং শশী পরিচিত টুনি নামে। মিলি এবং শশী দু’জনই বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের দু’টি মাইলফলক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। যে দু’টি সিনেমাতে তাদের পরী-টুনি নাম ছিল। ফারহানা মিলি ‘মনপুরা’ সিনেমাতে অভিনয় করে দর্শকের কাছে ভালোবাসার পরীতে পরিণত হয়েছিলেন। অন্য দিক ‘হাজার বছর ধরে’ সিনেমাতে অভিনয় করে শশীও দর্শকের কাছে ভালোবাসার টুনিতে পরিণত হয়েছিলেন।

গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘মনপুরা’ সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০০৯ সালে। তারও চার বছর আগে শশী অভিনীত কোহিনূর আক্তার সূচন্দা পরিচালিত হাজার বছর ধরে সিনেমাটি মুক্তি পায়। মনপুরাতে মিলির বিপরীতে ছিলেন চঞ্চল চৌধুরী, অন্য দিকে হাজার বছর ধরে শশীর বিপরীতে ছিলেন রিয়াজ। দু’জনই সিনেমায় অভিনয় করে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন। তবে দু’জনই পরবর্তীতে নাটকে অভিনয়েই বেশি নিয়মিত হয়েছেন। এখনো দু’জনই নাটকেই অভিনয় করছেন স্বাচ্ছন্দ্যে। অভিনয় জীবনের পথচলায় মিলি ও শশী এক সাথে করোনা মহামারী শুরু হওয়ার আগে একটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছিলেন।

নাটকটির নাম ‘সোনাভান’। এর আগে বা পরে মিলি ও শশীকে আর কোনো নাটকে অভিনয়ে দেখা যায়নি। সম্প্রতি মিলি ও শশীর গাজীপুরের একটি লোকেশনে দু’টি ভিন্ন কাজের ফাঁকে দেখা হয়েছে। মিলি যখন তার কাজ প্রায় শেষ করছিলেন, ঠিক সেই সময়ই শুটিং লোকেশনে শশীর উপস্থিতি। শশীকে শুরুতে চিনতে পারছিলেন না মিলি। কারণ চোখে সানগ্লাস, মুখে মাস্ক। পরবর্তীতে শশীকে দেখে বেশ খুশি হন মিলি। বেশ কয়েক বছর পর দেখা হওয়াতে দু’জনের মধ্যেই ভীষণ ভালোলাগার সৃষ্টি হয়। বেশ কিছুটা সময় তারা দু’জন গল্প আড্ডায় মেতে উঠেন।

ফারহানা মিলি বলেন, ‘শশী ভীষণ লক্ষ্মী, মিষ্টি ও গ্ল্যামারাস একজন অভিনেত্রী। আমার মনে হয় শশীর মতো একজন মেধাবী অভিনেত্রীকে নির্মাতাদের আরো ভালো ভালো গল্পে নিয়ে অভিনয় করিয়ে তার মেধাকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো উচিত। দীর্ঘদিন পর শশীর সাথে দেখা হয়ে ভালো লেগেছে। যদিও অল্প সময়, কিন্তু যতটুকু সময়ই পেয়েছি আমরা সময়টিকে উপভোগ করার চেষ্টা করেছি।’ শশী বলেন, ‘আমি মিলির মনপুরা সিনেমাটি দেখেছি। এতে তার অনবদ্য অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম।

মনপুরার রেশ এখনো রয়ে গেছে দর্শকের মধ্যে। মিলিকে নিয়ে আরো এক্সপেরিমেন্টাল ভালো ভালো কিছু কাজ হতে পারে। নির্মাতাদের তাকে নিয়ে আরো বেশি বেশি কাজ করা উচিত বলে মনে করি। আর মানুষ হিসেবে মিলি ভীষণ ভালো মনের একজন মানুষ, বিনয়ী তো বটেই। তার হাসিটা ভীষণ মিষ্টি।’

Advertisement