Homeসব খবরক্রিকেটসিরিজ জিততে বাংলাদেশের টার্গেট ২৪১ রান

সিরিজ জিততে বাংলাদেশের টার্গেট ২৪১ রান

সিরিজ জিততে হলে বাংলাদেশকে ২৪১ রান করতে হবে। হারারেতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। এর আগে টস জিতে বাংলাদেশকে ফিল্ডিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে খেলা শুরু হয়েছে বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায়।

শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করছিলেন তাসকিন। প্রথম ওভারের শেষ বলে তাসকিন ফিরিয়ে দিলেন জিম্বাবুয়ে ওপেনার টিনাশে কামুনহুকামউইকে। ৫ বলে ১ রান করেন কামুনহুকামউই। তাসকিনের তৃতীয় ওভারে দুটি সুযোগ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। দুবারই বেঁচে যাওয়া ব্যাটসম্যান তাদিওয়ানাশে মারুমানি। প্রথমে ক্যাচ ঠিকঠাক নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। এর পরের বলেই ক্যাচ ফেলে দিয়েছেন সাইফউদ্দিন। মারুমানি আউট হতে পারতেন ৬ ও ১০ রানে। যদিও মারুমানিকে বেশিদূর যেতে দেননি মিরাজ। দলীয় ৩৩ রানে তার ঘূর্ণিতেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। আউট হওয়ার আগে ১৮ বলে ২ চারে ১৩ রান করেন মারুমানি।

চাকাভাকে সঙ্গে নিয়ে এগোচ্ছিলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। দুজনের জুটিতে এসেছে ৪৭ রান। দলীয় ৮০ রানে চাকাভাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন সাকিব। চাকাভাকে বোল্ড করে ভেঙেছেন টেলরের সঙ্গে তার ৪৭ রানের জুটি।

অধিনায়কোচিত দায়িত্ব নিয়ে খেলছিলেন টেইলর। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হিট উইকেট হয়ে ফিরলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। শরিফুলের শর্ট বলে আপার কাট করতে গিয়েও পারেননি, তবে সে শটের প্রতিক্রিয়ায় ব্যাটটা ঘুরিয়ে এনেছিলেন পেছনের দিকে। বিপত্তি ঘটলো সেখানেই, টেইলরের ব্যাট আঘাত করলো স্ট্যাম্পে। রিপ্লেতে দেখে তাকে হিট উইকেট দেন আম্পায়ার। ৫৭ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৪৬ রান করেন টেইলর। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এই প্রথম হিট উইকেট হলেন তিনি। শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নয়, স্বীকৃত ক্রিকেটেই প্রথমবার এমনভাবে আউট হওয়ার স্বাদ পেলেন টেইলর।

এরপর ডিয়ন মেয়ার্সকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট শিকার করলেন বাঁহাতি স্পিনার সাকিব। সাকিবের শর্ট বল উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন মেয়ার্স। কিন্তু সীমানার আগে মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দী হয়ে ফেরেন ৫৯ বলে ৩৪ রান করা মেয়ার্স।

৫ উইকেট হারানোর পর মাধভেরের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়েছে জিম্বাবুয়ে। ৫২ বলেই ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি পূর্ণ করেছেন ওয়েসলি মাধভেরে। সিকান্দার রাজার সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়ে শরিফুলের শিকার হলেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে নিজের ঝুলিতে মাধেভেরে তুলেছেন ৫৬ রানে।

৪৭তম ওভারে জিম্বাবুয়ে শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন শরিফুল। মোসাদ্দেকের ক্যাচ বানিয়ে শরিফুল ফেরালেন লুক জংওয়েকে (৮)। এই ওভারের শেষ বলে শরিফুলের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লিটনের গ্লাভসে বন্দী মুজারাবানি (০)।

আর ৪৪ বলে ৩০ রান করে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে কট বিহাইন্ড হন সিকান্দার রাজা। ৪ রানে চাতারা এবং ৭ রানে এনগারাভা অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। এছাড়া দুটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।

প্রথম ওয়ানডেতে ১৫৫ রানে জিতেও পুরোপুরি তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারছেন না অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টপ অর্ডাররা হতাশ করেছে। এক পর্যায়ে স্কোরশিটে ৭৪ উঠতে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৪ উইকেট। সেখান থেকে স্কোরটা টেনে নিয়েছে ২৭৬ পর্যন্ত। তবে কোন রান না করেই ফিরে গেছেন তামিম। সেখানে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সাকিব থেমেছেন ১৯ রানে।

সে কারণেই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টপ অর্ডারের কাছে রান চান তামিম। নিজে ফিরতে চান রানে, সাকিবের কাছেও বড় স্কোরের প্রত্যাশা তামিমের।

প্রথম ম্যাচ জিতলেও জিম্বাবুয়েকে ছেড়ে কথা বলার কিছুই নেই। কেননা ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে বরাবরই শক্তিশালী। ব্যাট হাতে ব্রেন্ডন টেলর, রেগিস চাকাভা এবং ওয়েসলি ম্যাধভেরেরা যে কোনো সময়ই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার যোগ্যতা রাখেন। আর বোলিংয়ে তাদের তো ব্লেসিং মুজারাবানি এবং টেন্ডাই চাতারারা আছেনই। তাই সিরিজ জিততে হলে দলীয় পারফরম্যান্সের কোনো বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ: তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।

জিম্বাবুয়ে: ব্রেন্ডন টেইলর, রায়ান বার্ল, রেজিস চাকাভা, টেন্ডাই চাতারা, লুক জঙ্গুয়ে, টিমাইসেন মারুমা, টাডিওয়ানাশে মারুমানি, ব্লেসিং মুজারাবানি, ডিওন মায়ার্স, রিচার্ড এনগারাভা, ওয়েসলি মাধেভেরে।

Advertisement