Homeসব খবরক্রিকেটসাকিবদের নিশ্চিত হারা ম্যাচটি জিতিয়ে দিলেন ইরফান

সাকিবদের নিশ্চিত হারা ম্যাচটি জিতিয়ে দিলেন ইরফান

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেে টানা দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় তুলে নিল সাকিব আল হাসানের মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ব্যাট হাতে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ব্যর্থ হলেও ইরফান শুক্কুরের ঝড়ো ইনিংসে পারটেক্সকে ৬ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে মোহামেডান।

পারটেক্সের দেওয়া ১৫৮ রানে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৯ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বসে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ৭৮ রানে হারায় ৪ ব্যাটসম্যানকে। মিরপুরে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে হারের দুশ্চিন্তাও ঘিরে ধরেছিল তারকাসর্বস্ব মোহামেডানকে।

তবে সেই দুশ্চিন্তা দূর করে দিলেন ইরফান শুক্কুর। চাপের মুখে দাঁড়িয়ে খেললেন বিধ্বংসী এক ইনিংস। তার ২৯ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় হার না মানা ৫২ রানের তাণ্ডবে ভর করেই ১৪ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখে পারটেক্সকে হারিয়েছে মোহামেডান। আর এইটি টুর্নামেন্টের দ্রততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড।

ওপেনিংয়ে পারভেজ হোসেন ইমন ঝড় তুলতে গিয়ে ফিরলেও (১১ বলে ১৭ রান) আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান দলের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন। ২৬ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৩৮ রান করেন তিনি। তার আগেই সাকিব আল হাসান (১ বলে ০) আর শামসুর রহমানকে (১৬ বলে ১৯) হারিয়ে বেশ বিপদে পড়েছিল মোহামেডান। ইরফান শুক্কুর নিজের সহজাত ব্যাটিংয়েই সেই বিপদ কাটিয়েছেন।

পারটেক্সের পক্ষে ৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন তাসামুল হক। তিনি আবার ব্যাটিংয়েও ৫৯ রান করেছিলেন। তবে অলরাউন্ড পারফর্ম করেও দলকে জেতাতে পারলেন না। এর আগে যে ব্যাটিংয়ে সবটুকু আলোই কেড়েছেন ‘অখ্যাত’ আব্বাস মুসা। সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ রাহিদের মতো জাতীয় দলের তারকাদের অনায়াসে খেলে চার-ছক্কার ঝড় তুলেন এই তরুণ।

ওপেনিংয়ে নেমে ৪৪ বলে ৬৪ রানের মারকুটে এক ইনিংস খেলেন মুসা। যে ইনিংসে ৫টি চার যেমন মেরেছেন, হাঁকিয়েছেন ৫টি ছক্কাও। শেষ পযন্ত তাসকিনের শিকার হন মুসা। মুসার মতো বিধ্বংসী না হলেও ঠিকই হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তাসামুল হক। দ্বিতীয় উইকেটে মুসার সঙ্গে তিনি গড়েন ৯৫ রানের জুটি। ৫৬ বলে ৫৯ রান করে তাসামুল রানআউটের শিকার হন।

এরপর দ্রুতই কয়েকটি উইকেট হারায় পারটেক্স। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১৫৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় দলটি। তাসকিন, সাকিব উইকেটের দেখা পেলেও ছিলেন খরুচে। তাসকিন ৪ ওভারে ৩৩ রানে নেন ২ উইকেট। সাকিব ৪ ওভারে ১ উইকেট নিতে খরচ করেন ৩১ রান।

Advertisement