Homeফুটবলশিরোপার লড়াইয়ে নামার আগেই ‘গোল্ডেন বুট’ পেয়ে গেলেন মেসি!

শিরোপার লড়াইয়ে নামার আগেই ‘গোল্ডেন বুট’ পেয়ে গেলেন মেসি!

মেসির দল আর্জেন্টিনা শিরোপা খরা কাটাতে আগামী ২২ নভেম্বর বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করবে। কিন্তু তার আগেই মেসির হাতে তুলে দেয়া হলো গোল্ডেন বুট। ফুটবল বিশ্বকাপে আর দেখা যাবে না লিওনেল মেসিকে। আর্জেন্টিনার অধিনায়ক আগেই জানিয়েছেন কাতারই তার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। তাই এ আসরের দিকে সবার চোখ। কি করেন মেসি তার শেষ বিশ্বকাপ আসরে তা দেখার জন্য।

সাধারণত গোল্ডেন বুট পেয়ে থাকেন বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ গোলদাতা। তাহলে মেসি যেটি পেলেন সেটি কিসের গোল্ডেন বুট? আসুন জেনে নেই কিভাবে বিশ্বকাপ শুরুর আগেই গোল্ডেন বুট পেলেন মেসি। পাঠক নিশ্চয়ই অবাক হয়ে গেছেন। আর তা হওয়ারই কথা।

আর্জেন্টিনা ৩৬ বছর ধরে শিরোপা খরায়। তাই মেসির হাত ধরে সেই শিরোপা খরা কাটাতে চাইছে দলটি। অবশ্য মেসি তা পারবেন কিনা তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক দিন। যদিও বিশ্বকাপ শুরুর আগেই তিনি পেয়েছেন উপহার। কাতারে মেসিকে দেখা যাবে সোনার বুট পায়ে খেলতে। সত্যিই কি সোনার তৈরি? দেখতে তেমন হলেও বুটটি সোনার নয়।

লিওনেল মেসির জন্য বুট জুতা তৈরি করে ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাডিডাস। তারাই মেসির শেষ বিশ্বকাপ হিসেবে বিশেষ জুতা তৈরি করেছে। সম্পূর্ণ সোনালি রঙের জুতোয় ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ প্রযুক্তি। জুতাটির পোশাকি নাম ‘অ্যাডিডাস এক্স মেসি ২০২২ ওয়ার্ল্ড কাপ স্পিডপোর্টাল বুটস’। এতে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিশেষ ধরণের স্টাড।

মেসি দ্রুত গতিতে দৌড়ানোর সময় কোনও সমস্যা হবে না। মুহূর্তে ঘুরলেও দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে এই স্টাডগুলি। বলের সঙ্গে সংযোগ হবে অনেক মসৃণভাবে। সুবিধা হবে শট নিতে। জুতাটির নকশা অনেকটা পুরনো দিনের আদলের মতো। সোনালি বুটে লেখা রয়েছে মেসির জার্সি নম্বর ১০। রয়েছে আর্জেন্টিনার নীল-সাদা স্ট্রাইপ। একজন বিশিষ্ট শিল্পী মেসির জুতোর নকশা করেছেন। বিশ্বকাপ খেলার জন্য মেসিকে সরবরাহ করা হয়েছে প্রায় দু’ডজন বিশেষ জুতো।

এদিকে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া মেসির এই বুটজোড়া দেখে চমকে গিয়েছেন। তার মতে, এই বুটজোড়া মেসির ক্ষিপ্রতা আরও বাড়াবে। ২০০৬ বিশ্বকাপে সোনালি রঙের বুট পরে খেলেছিলেন ফ্রান্সের কিংবদন্তী জিনেদিন জিদান। মেসিও এবার সোনালি রঙের বুট পরেই বিশ্বকাপ খেলবেন। ২০০৬ সালে মেসি যে বুট পরে খেলেছিলেন তার নাম ছিল এফ ৩০।

গতকাল শনিবার (১৯ নভেম্বর) মেসি অনুশীলনে নামেন বেশ খানিকটা দেরি করে। একা একা অনুশীলন করেন। বল পায়ে, মাথায় নিয়ে নাচালেন। কোচের কথা শুনলেন। কথা বলেন সহকারীর সঙ্গে। শনিবার দুপুরে বাকি দলের শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা হয়। মেসি সেখানে ছিলেন না। আর্জেন্টিনা দলের খবর অনুযায়ী দলের সেরা ফুটবলারের উপর চাপ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে জল্পনা থামছে না। বুধবারের প্রস্তুতি ম্যাচে তাকে স্বাভাবিক ছন্দে দেখা গিয়েছিল। হঠাৎ এমন কী হল যে তিনি অনুশীলন করছেন না বাকিদের সঙ্গে? আর্জেন্টিনার এক সূত্রের খবর, বাকিদের সঙ্গে অনুশীলন করার মতো ফিট নন মেসি। তাই শনিবার আলাদা শরীরচর্চা করতে বলা হয়েছে।

শেষ বিশ্বকাপে মেসির খেলা দেখার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে রয়েছেন তার ভক্তরা। তারা চাইছেন, এবার বিশ্বকাপ উঠুক মেসির হাতে। সেটাই হবে প্রয়াত দিয়াগো ম্যারাডোনার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধার্ঘ্য। বিশ্বকাপ জিততে মরিয়া মেসি নিজেও। বাড়তি পরিশ্রম করছেন অনুশীলনে।

Advertisement