Homeসব খবরজেলার খবরযেভাবে ৮ টাকার শসা হয় ৪০ টাকা

যেভাবে ৮ টাকার শসা হয় ৪০ টাকা

রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে সবজি চাষে বিপ্লব হলেও কৃষক পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। কৃষকের কাছ থেকে তিন-চার হাত ঘুরে সবজির দাম বেড়ে যায় কয়েক গুণ। বর্তমানে কৃষক পর্যায়ে শসা ৮-১০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও ভোক্তা পর্যায়ে এর দাম পড়ছে ৪০-৫০ টাকা। রংপুরের মিঠাপুকুরে সবচেয়ে বেশি সবজির আবাদ হয়।

মহাসড়কের পাশে দাঁড়ালে দেখা যাবে সড়কের দুই পাশে শ্রমিকরা শসা, ঝিঙা, পটোলসহ বিভিন্ন সবজি বস্তায় ভরছে। এসব সবজি পরিবহনের জন্য রাস্তার পাশে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০-৪০টি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কাজ করে কয়েক শ শ্রমিক। গতকাল সকালে মিঠাপুকুরের বৈরাগীগঞ্জে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশে কথা হয় শসা চাষি নুর ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রতি কেজি শসা ৮-১০ টাকায় তারা বিক্রি করছেন।

পাইকাররা এখান থেকে শসা, পটোল, ঝিঙাসহ বিভিন্ন সবজি কিনে নিয়ে যায়। কৃষক জানান, তারা কেজিতে ১-২ টাকা লাভে বিক্রি করেন। পাইকারি ব্যবসায়ীরা কেজিতে ৫-৭ টাকা মুনাফা করে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। এরপর তারা ১০ টাকার সবজি ৩০-৪০ টাকায় ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করছে। ফলে সবজির দাম কমলেও এর কোনো সুফল পায় না সাধারণ ভোক্তারা। সেই সঙ্গে কৃষকও ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

মধ্যস্বত্বভোগীর কারণে কৃষক ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত। সব মিলিয়ে দেখা গেছে, কৃষক পর্যায় থেকে একটি সবজি তিন-চার হাত ঘুরে চার-পাঁচ গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। রংপুর সিটি করপোরেশনের কৃষক গৌরাঙ্গ রায়, পীরগাছার কল্যাণী ইউনিয়নের চাষি নজরুল ইসলাম বুলবুল, কাউনিয়া উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের আফজাল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, বাজারে সবজির দাম চড়া থাকলেও তারা প্রকৃত দাম পাচ্ছেন না। পাইকাররা কম দামে তাদের থেকে সবজি নিয়ে তিন-চার গুণ বেশি দামে বিক্রি করছে।

Advertisement