Homeঅন্যান্যযেভাবে ছাদে বা টবে করলার চাষ করবেন

যেভাবে ছাদে বা টবে করলার চাষ করবেন

আজকে আমরা আলোচনা করব কিভাবে ছাদে বা টবে করলার চাষ করা যায়। করলা গ্রীষ্মকালীন সবজী । আপনি বছরের সব সময় করলার চাষ করতে পারবেন। ছোট বেলায় করলার তরকারির কথা শুনলে ঐ দিন আর ভাত খেতে বসতাম না। তখন কি জানতাম যে এই করলার এত গুনাগুন। করলার গুনাগুন নিয়ে আলোচনায় পরে আসছি।

আমাদের দেশে একটি অতি পরিচিত এই করলা মানবদেহের জন্য একটি অত্যন্ত উপকারী সবজি। এটাকে ভাজি করে অথবা রান্না করে খাওয়া হয়। আসুন জেনে নেই বাড়িতে কিভাবে ছাদে বা টবে করলার চাষ করতে হবে।

করলার বীজ কোথায় পাবেন: নিকটস্থ নার্সারিতে অনেক হাইব্রিড করলার বীজ পাওয়া যায়। বারি করলা-১ সব থেকে ভাল মানের করলা। এছাড়া গজ করলাও ভাল ফলন দেয়।

ছাদে করলার চাষ পদ্ধতি: ছাদে বাগান করতে মাটি তৈরির নিয়ম আমাদের আগের লেখাতে বিস্তারিত লেখা আছে পড়ুন। প্রায় সব মাটিতেই করলার চাষ করা যায়। তবে জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোআঁশ ও বেলে-দোআঁশ মাটিতেই করলা ভালো হয়।

করলা চাষের জন্য হাফ ড্রাম মাটি ব্যবহার করা যেতে পারে। হাফ ড্রামের তলায় ৩/৪টি ছিদ্র করতে হবে যাতে সহজেই অতিরিক্ত পানি নিস্কাশিত হয়। হাফ ড্রামের তলার ছিদ্রগুলো ইটের ছোট ছোট টুকরা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে।

এবার দুই ভাগ দোআঁশ বা বেলে-দোআঁশ মাটি, এক ভাগ গোবর, ২০-৩০ গ্রাম টি.এস.পি সার, ২০-৩০ গ্রাম পটাশ সার, একত্রে মিশিয়ে ড্রাম ভরে পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে ১০-১২ দিন।

কিভাবে বীজ বপন করবেন?

তারপর মাটি কিছুটা খুচিয়ে দিয়ে আবার ৪-৫দিন এভাবেই রেখে দিতে হবে। যখন মাটি ঝুরঝুরে হবে তখন করলার বীজ বপন করতে হবে। করলার বীজ বপনের ২৪ঘন্টা পূর্বে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। বীজ বোনার পর মাটি হাত দিয়ে সমান করে দিতে হবে এবং চেপে দিতে হবে।

কিভাবে সঠিক নিয়মে পানি সেচ দিবেন: করলার বীজ বপন করার পর এতে নিয়মিত পানি দিতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে গাছের গোড়ায় যেন কখনই পানি জমে না থাকে। তাহলে গাছের গোড়া পচে যেতে পারে। তাই সঠিক নিয়মে পানি দিতে হবে।

কেন করলা খাবেন বা করলার গুণাগুণ: করলার মধ্যে অনেক ধরণের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। খাদ্যোপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম করলায় আছে জলীয় অংশ ৯২.২ গ্রাম, আ’মিষ ২.৫ গ্রাম, শর্করা ৪.৩ গ্রাম, ক্যাল’সিয়াম ১৪ মিলিগ্রাম, আয়’রণ ১.৮ মিলিগ্রাম, ক্যারো’টিন ১৪৫০ মাইক্রো’গ্রাম, ভিটামিন বি১- ০.০৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২- ০.০২ মিলিগ্রাম, অন্যান্য খনিজ পদার্থ ০.৯ গ্রাম ও খাদ্যশক্তি ২৮ ক্যাল’রি। তথ্যসূত্র

নিয়মিত করলা খাওয়ার অভ্যাস করলে নানান রকমের রো’গ বালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। করলা খাওয়ার ফলে র’ক্তের সমস্যা, খাবারের অরুচি, চোখের সমস্যা, ডায়া’বেটিস ইত্যাদি নিয়’ন্ত্রন করে। এছাড়া করলা বিভিন্ন ধরণের রো’গ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

Advertisement