Homeফুটবল‘মেসিকে আটকানোর চেষ্টা করাটা বোকামি’

‘মেসিকে আটকানোর চেষ্টা করাটা বোকামি’

হারের বৃত্তে আটকে থেকে ধুকতে থাকা মায়ামি মেসি আসার পর টানা সাত ম্যাচ ধরে রয়েছে অপরাজিত। একই সঙ্গে লিগস কাপের শিরোপা জিতে তারা পেয়েছে প্রথমবারের মতো কোনো ট্রফি জয়ের স্বাদ। লিওনেল মেসি নামক জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় রাতারাতি বদলে গেছে ইন্টার মায়ামি। লিগের পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা দলটি এখন মেসির সুবাদে পেয়েছে শিরোপার স্বাদ।

এখন পর্যন্ত মায়ামির হয়ে ৭ ম্যাচে খেলেছেন মেসি। মায়ামির জার্সি গায়ে ১০ গোল করার পাশাপাশি সর্বাধিক শিরোপা জেতা ফুটবলার হিসেবে গড়েছেন রেকর্ড। ইতিহাসের পাতায় নাম লিখে এখন মেসির সামনে হাতছানি নিজেকেই ছাড়িয়ে যাওয়ার।

আগামী বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে ইন্টার মায়ামির বিপক্ষে মাঠে নামবে সিনসিনাতি এফসি। সেখানে জয় পেলেই মায়ামির টিকিট মিলবে ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালের। আর ২৭ সেপ্টেম্বর ফাইনালে জিতলেই ৪৫ নম্বর শিরোপার স্বাদ পাবেন আর্জেন্টাইন এই তারকা।

২০২১ সালের পর মায়ামির কাছে হারেনি সিনসিনাটি। সবশেষ গত এপ্রিলেও দুই দলের শেষ দেখায় বিজয়ী ছিল দ্য অরেঞ্জ অ্যান্ড ব্লুজরা। শুধু তাই নয়, নিজেদের লিগেও শীর্ষ দল হিসেবে অবস্থান তাদের। কিন্তু তারপরও ম্যাচের আগে মায়ামিকে নিয়ে সিনসিনাতি কোচের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ দৃশ্যমান। আর সেই দুশ্চিন্তা যে মেসি ও তার বার্সা সতীর্থদের নিয়ে সেটি আর বলার অবকাশ নেই। মেসি ইস্যুতে রীতিমতো হাল ছেড়ে দিয়েছেন সিনসিনাতি কোচ প্যাট নোনান।

নোনান বলেন, ‘মেসির ক্ষেত্রে বাস্তবতা হচ্ছে, গত দুই দশক ধরে সর্বোচ্চ স্তরের ফুটবলে খুব বেশি ক্ষেত্রে এটা করা সম্ভব হয়নি। আর যদি আশা করা হয় যে এর উত্তর আমাদের কাছে থাকবে, তবে সেটা বোকামি। সে এখনো শীর্ষ স্তরের ফুটবল খেলছে এবং বিশ্বকাপ জিতে এসে আরও উজ্জীবিত।’

ইউএস ওপেনের সেমিতে সিনসিনাতিতে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন নোনান।

তিনি বলেন, ‘এটা খুবই কঠিন পরীক্ষা হবে। কেউ কেউ এ মত দিচ্ছে যে, বুসকেটসকে মার্ক করে এবং তার খেলা আটকে দিয়ে কি পারা সম্ভব? ঠিক আছে, কিন্তু তখন অন্য খেলোয়াড়েরা বেশি জায়গা পাবে এবং তারা আপনার ক্ষতি করতে পারে। সবাই চেষ্টা করছে খুবই ভালো এই দলটিকে আটকানোর উপায় খুঁজে বের করতে এবং কেউই সেটা করতে পারছে না।’

‘মেসি আসার আগে তারা ১১টি লিগ ম্যাচে জিততে পারেনি। আর এখন তারা একটি ম্যাচেও হারেনি। এর একটি কারণ দলে বিশ্বসেরা খেলোয়াড় বা বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন থাকা। এর ফলে পেশাদারত্ব থেকে মাঠের খেলার গুণগত মানসহ সবকিছুতে পরিবর্তন এসেছে’, তিনি যোগ করেন।

Advertisement