এলাকার এল এল বি পাস করা বেকার যুবক অনিল মারমা মাশরুম চাষ করে সফল হয়েছেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে মাশরুম চাষ করে সফলতা পেয়েছেন অনিল। কাপ্তাই উপজেলার বড়ইছড়ি এলাকার ছেলে অনিল মারমা।
অনিল মারমা বলেন, করোনাকালে যখন বেকার সময় কাটাচ্ছিলাম, তখন অনেকটা শখের বসে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক চাহিদা মিটাতে মাশরুষ চাষ করার পরিকল্পনা করি। পরিকল্পনা সফল করতে বড়ইছড়িতে মাশরুশ চাষের জন্য একটি ঘর তৈরি করে সেখানে পরীক্ষামুলকভাবে মাশরুম চাষ শুরু করি। এই ১টি চাষঘরে কমপক্ষে ১ হাজার মাশরুম চাষের খড়ের সিলিন্ডার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন রয়েছে। প্রাথমিক চাষে সফলতা পাওয়ায় অনিল মাশরুষ চাষ করার পাশাপাশি মাগুরা জেলার ড্রীম মাশরুম সেন্টার থেকে মাশরুষ চাষের ওপরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি বর্তমানে মাশরুম চাষের পরিধি আরো বাড়িয়েছেন। গত ৪ মাসে মাশরুম উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৩ শত কেজি। উৎপাদিত মাশরুম স্থানীয়ভাবে বিক্রির পাশাপাশি রাঙ্গামাটি জেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাইকারীভাবে বিক্রি হচ্ছে। মাশরুম চাষের মাধ্যমে তিনি নিজের সব চাহিদা পূরণের পাশাপাশি পারিবারিক চাহিদাও মিটাতে সহযোগিতা করতে পারছেন। অনিল বলেন, সারা বছর ১ হাজার খড়ের সিলিন্ডার তৈরি করে মাশরুম উৎপাদন করা গেলে বছরে কমপক্ষে ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।
ভবিষ্যতে মাশরুম চাষের পরিসর আরো বৃদ্ধি করবেন এবং এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার স্বপ্ন দেখছেন বলে তিনি জানান। কাপ্তাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মধুসূদন দে বলেন, আমি সরেজমিনে তাঁর মাশরুম খামার দেখেছি। মাশরুশ চাষে অনিলের সফলতা এ এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য একটি উদাহারণ হয়ে থাকবে।