Homeঅন্যান্যমানকচুতেই জাফরের জীবন-জীবিকা

মানকচুতেই জাফরের জীবন-জীবিকা

বসতবাড়ির আনাচে-কানাচে অযত্ন আর অনাদরে বেড়ে ওঠা মানকচু কেনাবেচা করেই ধরেছে অভাবের সংসারের হাল। এই কচুতেই তাদের জীবন-জীবিকা। চলে ৬ সদস্যের মো. জাফর মিয়ার সংসার। সকাল হলেই ভ্যান নিয়ে গ্রামে বেরিয়ে পড়েন বাবা-ছেলে কচু কিনতে।

মাগুরা শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর, বৈখালি, মনোখালি, গজনগর, সোনাকুড়, কোতপুর, কাঠিগ্রাম, মধুখালি, পুলুম, বুনাগাতি, হাটবাড়িয়া, বাকলবাড়িয়া গ্রামগুলোর বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কচু কেনেন জাফর মিয়া। প্রতিটা মানকচু কেনেন ৪০-৫০ টাকায়। প্রকার ভেদে কোনটা আবার ৬০-৭০ টাকাতে কেনেন। আর তা পাইকারি বিক্রি করেন ১০০ টাকা পর্যন্ত।

নড়াইলের হাড়িগাড়া গ্রামের মো. জাফর মিয়া জানান, সকাল হলেই ছেলে ইব্রাহিমকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন গ্রামে গ্রামে মানকচু কেনতে। সাধারণত তারা বাড়ির মহিলাদের থেকে এই কচু কেনে থাকেন। তারপর তা পরিষ্কার করে পাইকারি বিক্রি করেন সাতক্ষীরাতে। সাতক্ষীরা থেকে এই কচু যায় দেশের বিভিন্ন জায়গায়।

প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। শীতের শেষ ভাগে এবং বর্ষার শুরুতে এই কচু বেশি পাওয়া যায়। বছরের অন্য সময় মাঠে কৃষিকাজ করার পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের মৌসুমে আম কাঁঠালের ব্যবসা করেন বলে জানান এই ব্যবসায়ী।

শালিখা উপজেলার বৈখালি গ্রামের গৃহিণী দীপিকা বিশ্বাস বলেন, বাড়ির আনাচে-কানাচে এই কচু অনাদরে বেড়ে ওঠে। প্রতিবছর বাড়ির পর এসে কচু কিনে নিয়ে যান জাফর মিয়া। হাট-বাজারে নেয়ার কোনো ঝামেলা নেই। আমি এ বছর ৫০০ টাকার কচু বিক্রি করেছি। ভাবছি এখন থেকে বাড়ির চারপাশে পতিত জমিতে মানকচু আবাদ করবো। যাতে আগামী বছর আরো বেশি মানকচু বিক্রি করতে পারি। এতে কোনো খরচ হয় না। আমাদের গ্রামের প্রায় প্রতিটা বাড়িতেই এই মানকচু হয়।

জাফর মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম বলেন, কচুর ব্যবসা করতে পুঁজির খুব বেশি দরকার হয় না। হাজার দশেক টাকা হলেই শুরু করা যায়। লাভ মোটামুটি ভালোই হচ্ছে। আগের চেয়ে আমরা এখন খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি। তবে সারা বছর কচু কেনাবেচা থাকে না। সেসময় একটু অসুবিধা পড়তে হয়। তখন মাঠে কৃষিকাজ করি।

Advertisement