Homeসব খবরজেলার খবরমধুপুর বনাঞ্চলে তরমুজ চাষে অভাবনীয় সাফল্য

মধুপুর বনাঞ্চলে তরমুজ চাষে অভাবনীয় সাফল্য

২১০ শতাংশ জমিতে এই নতুন প্রজাতির বারোমাসি তরমুজ চাষ করে লাখপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মাসুদ হাসান। মধুপুর বনাঞ্চলে তরমুজ চাষে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চল আনারসের জন্য বিখ্যাত হলেও বারোমাসি তরমুজ চাষ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তিনি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় প্রথমে দেড় বিঘা (৫০ শতাংশ) জমিতে তরমুজ চাষ শুরু করে। কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ফলন হওয়ায় জমির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করে বর্তমানে ২১০ শতাংশ জমিতে লেন ফিই এফ১ জাতের তরমুজ রোপণ করেন। তরমুজ পরিপক্ব হয়ে বিক্রি উপযোগী হতে সময় লাগে ৫৫দিন থেকে ৬০দিন।

ইতোমধ্যেই দেড় বিঘা (৫০ শতাংশ জমি থেকে এক লাখ ৪ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। প্রতি শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষে খরচ হয়েছে আড়াই হাজার টাকা। ২১০ শতাংশ জমিতে তরমুজ আবাদ করতে প্রথমবার ৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

স্থানীয় মোন্নাফ হোসেন বলেন, মধুপুরে তরমুজ চাষ এর আগে দেখি নাই। বনে কলা ও আনারসের চাষ হয়। কিন্তু নতুন জাতের এই তরমুজ গ্রামে প্রথম দেখলাম। তরমুজ খেতেও অনেক স্বাদ। ঘ্রাণ ও মিষ্টিতে ভরপুর এই তরমুজ। নতুন বাগানে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ হয়েছে। তিনিও তরমুজ বাগান করার চিন্তাভাবনা করছেন।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ের অতিরিক্ত উপ-পরিচালকমাহমুদুল হাসান বলেন, মধুপুর বনাঞ্চলে আনারস ও কলার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে সবজির আবাদ হয়। এসবের পাশাপাশি কয়েক গ্রামে বারোমাসি তরমুজের চাষ শুরু হয়েছে। এসব কৃষকের তরমুজ চাষে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়।

Advertisement