Homeসব খবরজাতীয়মজুত করে দাম বৃদ্ধিকারীদের গণধোলাই দেওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

মজুত করে দাম বৃদ্ধিকারীদের গণধোলাই দেওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে একটি শ্রেণি চক্রান্ত করে জিনিষপত্রের দাম বাড়িয়েছে। যারা সরকার উৎখাতে আন্দোলন করছে, তারা ভোগ্যপণ্যের বাজারেও কারসাজি করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে সম্প্রতি জার্মানি সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দ্রব্যমূল্য, অবৈধ মজুত ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ বছর ধরে যে পরিবর্তন এসেছে তা তো স্বীকার করবেন। আগে ভাতের জন্য হাহাকার ছিল। একটু নুন ভাত। একটু ফ্যান চাইত। এখন তা চায় না। ডিম লুকিয়ে রেখে দাম বাড়ানো, আপনার কী মনে হয় না দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সরকার উৎখাতে আন্দোলনকারীদের কিছু কারসাজি আছে?

তিনি আরও বলেন, এর আগে বাজারে পেঁয়াজের খুব অভাব দেখা গেলেও পরে বস্তাকে বস্তা পচা পেঁয়াজ পানিতে ফেলে দেয়া হয়েছে। এই লোকগুলোর কী করা উচিত, আপনারাই বলুন? তাদের গণধোলাই দেওয়া দরকার। কারণ আমরা সরকার কিছু করলে বলবে, সরকার করেছে। পাবলিক যদি প্রতিকার করে, তাহলে সব থেকে ভালো, কেউ কিছু বলবে না।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে এজন্য আগেও ষড়যন্ত্র ছিল, এখনও রয়েছে।

জার্মানি সফরে পশ্চিমা বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক ও সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা উঠেছে কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো উদ্বেগও নেই, মন্তব্যও নেই, প্রশ্ন নাই। নির্বাচন নিয়ে কোন কথা হয় নাই, বেশির ভাগ কথা হয়েছে দ্বিপক্ষীয়।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি সব সময় বলেছি, আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছি, আপনারা সেখানে আসেন, বিনিয়োগ করেন। সেই সঙ্গে নতুন যেসব প্রযুক্তি এসেছে, যে যে বিষয়ে পারদর্শী সে বিষয়েও আলোচনা করেছি।’

উল্লেখ্য, চার দিনের সরকারি সফরে ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-‘ যোগ দিতে জার্মানির পৌঁছান এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে তিনি দেশে ফিরেন।

Advertisement