Homeসব খবরজেলার খবরভাসমান পদ্ধতিতে লাউ চাষে সফল চাষিরা

ভাসমান পদ্ধতিতে লাউ চাষে সফল চাষিরা

কম খরচে বেশি লাভ মেলায় এ পদ্ধতিতে সবজি আবাদে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। বদ্ধ জলাশয়ে কোনো প্রকার রা’সায়নিক সার ও কী’টনাশক ছাড়া কম খরচে উৎপাদন করা বি’ষমুক্ত এসব সবজি বাজারে বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। কিশোরগঞ্জ সদর উপ‌জেলার কাশোরারচর ভাসমান পদ্ধতিতে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।

বর্ষা মৌসুমে বছরের প্রায় ৬ মাস এ পদ্ধতিতে আবাদ করা যায়। আর পানি শুকিয়ে গেলে কচুরিপানার বেড ব্যবহার করা যায় জৈব সার হিসেবে। বিষমুক্ত এসব সবজি বাজারে বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। কম খরচে উৎপাদন বেশি হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।

চাষি আব্দুল গ‌নি বলেন, ২০১৩ সাল থেকে নিজের উদ্যোগে কচু‌রিপানার মাচায় স‌বজি চাষ করছি। কম খরচে সহজেই সব‌জি চাষ করা যায়। সার ও কীটনাশক লাগে না। আর বাজারে এ সবজির চা‌হিদা বে‌শি। লাভ ও পাওয়া যায় বে‌শি।

কৃষি বিভাগের ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ, গবেষণা সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক ড. বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, শুধু বিষমুক্ত সব‌জি উৎপাদনই নয়। সব‌জি চাষ শেষ হলে কচু‌রিপানার বেড অন্য ফসলি জ‌মি‌তে জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

জেলা কৃ‌ষি সম্প্রসারণ অ‌ধিদফতরের উপ প‌রিচালক মো. আবদুস সাত্তার বলেন, বর্তমানে কিশোরগঞ্জ সদর, নিকলী ও কটিয়াদী উপজেলায় সীমিত পরিসরে ভাসমান বেডে সবজি আবাদ করা হচ্ছে। জেলার অন্যান্য উপজেলাতে এটি সম্প্রসারণ করা হবে।

Advertisement