Homeসব খবরজেলার খবরব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৭৩ সে.মি. ওপরে

ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৭৩ সে.মি. ওপরে

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যা কবলিতরা। চরাঞ্চলে ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে থাকায় গবাদি পশু উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক পরিবার। এদিকে জেলার বন্যা কবলিত এলাকায় প্লাবিত হয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে ৮৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

ব্রহ্মপুত্রের পানি হাতিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের অন্তত ২৫ হাজার পরিবার।

বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার নতুন জেগে উঠা চরের ঘরবাড়ি প্রায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এতে করে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে পরিবারগুলো।

উলিপুর উপজেলার পূর্ব বালাডোবা চরের বাসিন্দা আফজাল প্রামাণিক জানান, ঘরের প্রায় চাল পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। থাকার কোনো উপায় নেই। তাই বউ-বাচ্চা ও গরু-ছাগল নিয়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছি। খুব কষ্টে দিন কাটছে।

অন্যদিকে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের ঘরবাড়িসহ নিম্নাঞ্চলের কাঁচা-পাকা সড়ক। এতে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন। এসব এলাকায় নৌকাই হয়ে উঠেছে একমাত্র যোগাযোগের ভরসা। তলিয়ে আছে এসব এলাকার বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত।

আগামী ২৪ ঘণ্টা ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানায়, জেলার বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ১৭৬ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা বিতরণ করা হচ্ছে।

Advertisement