Homeসব খবরজেলার খবরবেড়েছে হাইব্রিড মরিচ চাষ, বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি!

বেড়েছে হাইব্রিড মরিচ চাষ, বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি!

জমিতে মরিচের অধিক ফলন পেয়ে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। বগুড়ার শাজাহানপুরে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে হাইব্রিড মরিচ চাষ। এখানকার আবহাওয়া ও মাটি মরিচ চাষের উপযোগী হওয়ায় কৃষকরা মরিচের বাম্পার ফলন পায়।

মে মাস থেকে মরিচের চারা লাগানো শুরু হয়। আর জুন-জুলাই মাসেই মরিচ বাজারজাত করা যায়। জানুয়ারি মাস পর্যন্ত মরিচের উৎপাদন চলে। এই ৫-৬ মাস কৃষকরে ভালো উপার্জনের ব্যবস্থা হয়। যা অর্জন করতে পেরে খুশি কৃষকরা।

গত বছরের তুলনায় এবছর মরিচের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালে ২শ’ ৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড মরিচের চাষ হয়েছিল। আর চলতি বছর ১০ হেক্টর বেড়ে ২শ’ ১৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড মরিচের চাষ হচ্ছে। তারা মরিচের জমিতে কাজ করে ভালো উপার্জন করতে পেরেছেন। হাইব্রিড মরিচ চাষ করে শুধু কৃষক লাভবান হননি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ায় উপকার হয়েছে শ্রমিকদের।

উপজেলার খরনা ইউনিয়নের ভাদাইকান্দি গ্রামের কৃষক হাজী আহম্মেদ আলী বলেন, অন্য ফসলের তুলনায় হাইব্রিড মরিচ চাষ বেশি লাভবান হওয়া যায়। আশা করছি মরিচ বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো। তাই এবছর ৫০ শতক জমিতে হাইব্রিড মরিচ চাষ করেছি। জমিতে মরিচের ফলনও ভালো এসেছে।

কৃষক নুরুজ্জামান বলেন, আমি এবছর ১ বিঘা জমিতে হাইব্রিড মরিচের চাষ করেছি। চাষে ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজারদর ভালো থাকলে এই ১ বিঘা জমির মরিচ বিক্রি করে প্রায় দেড় লাখ টাকা আয় করা যাবে। উচ্চফলনশীল এই মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে।

এছাড়াও উপজেলার আব্দুল মান্নান ২০ শতক, জোড়গাড়ি গ্রামের আবুল কালাম ২৫ শতক, আব্দুল হান্নান ২০ শতক জমিতে হাইব্রিড মরিচ চাষ করে অভাবনীয় ফলন পেয়েছেন। এসব আড়তে কাজ করে অনেকেই তাদের জীবন জিবিকা নির্বাহ করছেন। মরিচ কেনা-বেচার জন্য উপজেলায় ডজন খানেক আড়ত গড়ে উঠেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরে আলম বলেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় হাইব্রিড মরিচের ভালো ফলন হয়। তাই কৃষকদের মাঝে দিন দিন হাইব্রিড মরিচ চাষের আগ্রহ বাড়ছে। মরিচের পাশাপাশি কুষকরা অন্যান্য সবজিও উৎপাদন করে ব্যস্ত সময় পার করেন। আমরা কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে সহযোগীতা দিয়ে আসছি। এতে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন।

Advertisement