Homeসব খবরআন্তর্জাতিকবৃদ্ধের মাথায় ‘শিং’, যেভাবে ফের আলোচনায়

বৃদ্ধের মাথায় ‘শিং’, যেভাবে ফের আলোচনায়

দশ বছর আগে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। তারপরেই আঘাতের স্থানে অস্বাভাবিকভাবে গজাতে শুরু করে শিংয়ের মতো দেখতে মাংসপেশী। যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আকারে বড় হতে থাকে। এক সময় সেই মাংসপেশী পুরোপুরি শিংয়ের আকার ধারণ করলে অস্ত্রোপাচার করতে বাধ্য হন। ঘটনাটা শ্যামলাল যাদব নামের এক বৃদ্ধের।

তিনি ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার রাহলি গ্রামের বাসিন্দা। কয়েকবছর আগে তিনি লক্ষ্য করেন, তাঁর মাথায় শিংয়ের মতো দেখতে মাংসপেশী গজাতে শুরু করেছে। প্রথমে নিজে থেকেই তা কাটতে শুরু করেন। কিন্তু তাতে কোন লাভ না হওয়ায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তিনি। কিন্তু চিকিৎসকও তার এই অস্বাভাবিক মাংসপেশী বৃদ্ধির সঠিক কারণ ধরতে পারেননি।

পরবর্তীতে জেলার সাগর ভাগ্যদয় তীর্থ হাসপাতালের একজন বড় চিকিৎসকের কাছে যান শ্যামলাল যাদব। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসক জানান, এটি ত্বকের একটি বিরল রোগ। যা অতিরিক্ত রোদের মধ্যে কাজ করলে মানুষের মাথায় হয়ে থাকে।

চিকিৎসক আরো জানান, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় ‘শয়তানের শিং’ বা ‘ডেভিলস হর্ন’। পরে ওই বৃদ্ধের মাথায় এক্স-রে করে জানা যায়, এই অস্বাভাবিক মাংসপেশীর গভীরতা খুব একটা বেশি নয়। তারপরই শ্যামলালের মাথায় অস্ত্রোপাচার করে তাকে এই বিরল রোগের হাত থেকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।

সম্প্রতি ‘ভিসানারি ভয়েড’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডেল থেকে ‘পশুমানুষ’ শ্যামলালের ছবি পোস্ট করা হয়েছিল। সাধারণ এই অ্যাকাউন্ট থেকে রহস্যজনক ঘটনার বিষয়ে পোস্ট করা হয়ে থাকে। ওই পোস্টেই ‘শিং’ গজানোর রহস্য ভেদ করা হয়েছে।যারমাধ্যমে আবারও আলোচনায় উঠে এসে শ্যামলাল।

সেখানেও বলা হয়েছে, চিকিৎসাবিদ্যার পরিভাষায় এই বিষয়টিকে বলা হয় ‘কিউটেনিয়াস হর্ন’ (ত্বকের শিং) বা ডেভিলস হর্ন (শয়তানের শিং) অথবা অ্যানিমালস হর্ন (পশুর শিং)। এটি একটি বিরল ধরনের ত্বকের বৃদ্ধি। দেখতে অনেকটা প্রাণীদের শিংয়ের মতোই। ত্বকের সমস্যা থেকেই যা হয়ে থাকে। এর ফল ক্যান্সারও হতে পারে।

সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট টিভি।

Advertisement