Homeসব খবরআন্তর্জাতিকবিরল মাছ বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন জেলে

বিরল মাছ বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন জেলে

এক মাছ বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেছেন পাকিস্তানের এক জেলে। ‘গোল্ডেন ফিশ’ নামে একটি মাছ ৭০ লাখ রুপিতে বিক্রি করেছেন তিনি। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে। খবরে বলা হয়েছে, হাজি বালোচ নামের ওই জেলে করাচির একটি জেলেপল্লিতে বাস করেন।

গত সোমবার (৬ নভেম্বর) হাজি বালোচ ও তার কয়েকজন কর্মী আরব সাগরে মাছ ধরতে যান। এ সময় ‘গোল্ডেন ফিশ’ নামে বেশ কয়েকটি বিরল মাছ তাদের জালে ধরা পড়ে। মহামূল্যবান এই মাছ স্থানীয় ভাষায় ‘সোয়া’ মাছ নামে পরিচিত।

পাকিস্তানের মৎস্যজীবী ফোরামের নেতা মুবারক খান জানান, ‘আজ (শুক্রবার) সকালে করাচি বন্দরে জেলেদের ধরে আনা মাছ নিলামে তোলা হয়। এ সময় একটি মাছ ৭০ লাখ রুপিতে বিক্রি হয়েছে। আর সবগুলো মাছ বিক্রি হয়েছে ৭ কোটি রুপিতে।

হাজি বালোচ বলেন, ‘আমরা আরব সাগরের উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরছিলাম। হঠাৎ করেই এই মাছটি আমাদের জালে উঠে আসে, এটি আমাদের কাছে আসা এক দৈব সম্পদের মতো। মাছটি বিক্রি করে যে অর্থ তিনি পেয়েছেন তা সহযোগী জেলেদের সঙ্গে ভাগাভাগি করবেন। মূলত প্রজনন মৌসুম এলেই গভীর সমুদ্র থেকে এই মাছটি উপকূলের কাছাকাছি আসে।’

মহামূল্যবান এই ‘সোয়া’ মাছের রয়েছে বহু ওষুধি গুণাবলি। এই মাছের পেটের ভেতরে বিজ্ঞানীরা এমন এক উপাদান রয়েছে যা , যা চিকিৎসা ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

‘সোয়া’ মাছের পেটের ভেতর সুতার মতো কুণ্ডলী পাকানো ওই বস্তুটি মূলত অ’স্ত্রোপ’চারের সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এ কারণেই এই মাছটিকে মহামূল্যবান এক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ঐতিহ্যবাহী কিছু ওষুধ তৈরিতে এই মাছের বিপুল চাহিদা রয়েছে।

‘সোয়া’ মাছের ওজন ২০ থেকে ৩০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর এটি দেড় মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এই মাছের বিপুল চাহিদা রয়েছে।

Advertisement