Homeঅন্যান্যবাড়ির আঙিনায় এই পদ্ধতিতে শসা রোপন করলে হবে ব্যাপক...

বাড়ির আঙিনায় এই পদ্ধতিতে শসা রোপন করলে হবে ব্যাপক ফলন

শসা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। শসাকে অনেকেই ফল হিসাবে ব্যবহার করে আবার সবজি হিসাবে ব্যবহার করা যায়। অনেকেই বলে শসা খেলে ভিতর শীতল থাকে। তাছাড়া আমার শসা ছালাতের সাথে এবং সবজি হিসাবে রান্না করে খেয়ে থাকি। শসা খেলে শরীলেট ত্বক সুন্দর হয় এবং মুখেরও।শসার মধ্যে খুবই বেশি পরিমাণের ক্যালোরি যা আমাদেরকে কাজ করতে সাহায্য করে। শসা খেতেও ভালো লাগে।

শসা খেলে অনেক পরিমাণের ভিটামিন পাওয়া যায় যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষতমা বাড়ায়। শসা হাইপেশার রোগিদের জন্য খুবই উপকারি এটি হাইপেশার নিয়ন্ত্রন করে থাকে। তাছাড়া ডায়বেটিস আরে অন্য রোগিদের জন্য মারাত্বক উপকারি। অনেকের বাড়ির আঙিনা অনেক ছোট তাই তারা শসা চাষ করতে পারে না। তাই তারা বাজার থেকে শসা কিনে এনে চাহিদা পূরন করে।

বাজারে শসা অনেক দিন আগের গাছ থেকে পারা থাকে কিন্তু বাড়িতে চাষ করলে তা টাটকা পাওয়া যায় এবং চাহিদা পূরন করা যায়। ইন্টারনেট কিছু দিন আগে একটি ভিডিওতে এক দাদা কি ভাবে বাড়ির আঙিনায় কম জায়গার মধ্যে শসা চাষ করতে হয় তা দেখিয়েন। ভিডিওটি বাড়ি আঙিনায় শসা চাষ করা শিখার জন্য খুবই উপকারি।

কিভাবে করবেন টবে শশা চাষ: পূর্ণাঙ্গ চাষ পদ্ধতি

শশা আমাদের দেশে জনপ্রিয় একটি সবজি। শশা শুধুমাত্র সালাতে নয় সবজি হিসাবেও খাওয়া হয়। শশার উপাদানের ৮০ শতাংশ পানি থাকে। আমাদের দেশে শশা সালাদের তালিকার প্রথমে রাখা হয়ে থাকে। এছাড়াও শশা রূপ চর্চার জন্যেও ব্যবহার করা হয়। আসুন জেনে নেই টবে শশা চাষ পদ্ধতি।

টবে শশা চাষের জন্য উপযুক্ত জাত নির্বাচন

বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ কয়েক ধরণের শশার জাত চাষ করা হয়। এর মধ্যে অধিকাংশ জাতই হাইব্রিড। পটিয়া জায়ান্ট বিএডিসি বারোমাসি ও নামের ২ টি স্থানীয় জাত রয়েছে। বেসরকারী বীজ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান গুলো বেশ কয়েকটি বিশুদ্ধ জাত ও হাইব্রিড জাত বাজারজাত করছে। শশার বিভিন্ন জাতের মধ্যে- আলভী, কিরিণ তিতুমির, নওগ্রা গ্রীন, হিমেল, গ্রীন ফিল্ড, বাশখালী, মধুমতি, শিলা, লাকি-৭ ইত্যাদি জাতসমুহ আমাদের দেশে চাষ করা হয়ে থাকে।

কিভাবে উপযোগী মাটি তৈরি করবেন

শশা উৎপাদণের জন্য উর্বর বেলে দো-আঁশ মাটি উপযুক্ত। এক ভাগ সাদা বালু একভাগ মাটি আর একভাগ পচাঁ গোবর বা ভাল মানের কম্পোষ্ট সার ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। সম্ভব হলে এই মিশ্রণের সাথে সামান্য ছাঁই মেশাতে পারেন। টবে সফলভাবে ফলন পেতে হলে পর্যাপ্ত জৈ’ব সা’রের সঙ্গে পরিমানমত রাসা’য়ানিক সার ব্যবহার করা যেতে পারে, এটা হতে পারে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী।

বীজ বা চারা রোপণ

শশার বীজ বপণের জন্য ২৪ ঘন্টা আগে ভিজিয়ে রাখতে হবে। বীজের আকারের দ্বিগুন গভীরে বীজ বপণ করতে হবে। চারা রোপনের উপযুক্ত সময় বিকালবেলা, তাহলে চারা কম মরবে। চারা লাগানের পরে চারার গোড়ায় মাটি দিয়ে টিপে দিতে হবে। তারপর টবে পানি দিতে হবে।

শশা গাছের যত্ন

যে টবে বীজ রোপণ করবেন তার নিচের দিকে ছোট ছোট ছিদ্র করে দিতে হবে যাতে অতিরিক্ত পানি বের হতে পারে। চারা গজানের এক সপ্তাহ পর থেকে পরিমাণ মতো তরল সার প্রয়োগ করতে হবে এবং পাত্রের মাটির পরিমাণ অনুযায়ী পাঁচ দানা করে টিএসপি দিয়ে, টবের কিনারার দিকে মাটি আগলা করে দিতে হবে। শশা গাছে সকাল-বিকাল পানি দিতে হবে।

তরল সার প্রস্তুতি ও প্রয়োগ

আধা লিটার পানিতে ২৫ গ্রাম সরিষা খৈল ভিজিয়ে ৭দিন রেখে দিতে হবে। এবার এই ভেজানো খৈল দশ লিটার পানিতে দুই চা-চামচ ইউ’রিয়া এবং এম’ওপি সার ভালভাবে মিশিয়ে পরিমাণ মতো প্রয়োগ করতে হবে।

শশা গাছের পোকামাকড় দমন

শশা গাছে মাছি পোকা দেখা যায়। মাছি পোকা কচি ফলে ডিম পাড়ে এবং ফল নষ্ট করে দেয়। আক্রান্ত ফল গাছ থেকে তুলে ফেলে দিতে হবে।

শশা গাছের পাতায় ডাউনি মিল’ডিউ রো’গ দেখা দিয়ে থাকে। এর ফলে পাতায় নানা আকারের দাগ দেখা যায়। প্রতিকার হিসাবে সময় মত আগাছা পরিস্কার করতে হবে।

শশা গাছে রেড পামকিন বিটল পোকা আ’ক্রমণ করে থাকে। এরা পাতা, ফুল ও কচি ফল খেয়ে নষ্ট করে দেয়।এ রোগে আক্রা’ন্ত হলে পোকা গুলো মে’রে ফেলতে হবে। সাবান গুলিয়ে অথবা নিমবীজের দ্রবণ স্পে করলে এ পোকার আক্র’মণ কমে যায়।

শশার জীবন কাল

সাধারণত জাত ভেদে শশা গাছ ৭৫ থেকে ১২০ দিন পর্যন্ত বেচে থাকে।

শশা চাষের সময়

শশা চাষের উপযুক্ত সময় ফ্রেবুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। তবে হাই’ব্রিড জাত গুলো সারা বছরই বপণ করা যায়।

Advertisement