Homeসব খবরজেলার খবরবাণিজ্যিকভাবে তেজপাতা চাষে সফল রহমত আলী

বাণিজ্যিকভাবে তেজপাতা চাষে সফল রহমত আলী

বর্তমানে দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষক মো. রহমত আলী মসলা জাতীয় ফসল তেজপাতার বাগান করে সফল হয়েছেন। তিনি বছরে প্রায় লক্ষাধিক টাকার তেজপাতা বিক্রি করছেন। এই জেলার দেশে শস্যভান্ডার নামে খ্যাত। এই জেলার কৃষকরা ধান, ভুট্টা সহ বিভিন্ন সবজির আবাদ করে থাকেন।

কৃষক মো. রহমত আলী ফুলবাড়ী উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের আকিলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একজন নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ২০০৯ সালে তিনি পিটি অফিসার পদে থেকে অবসর গ্রহন করেন। বর্তমানে তিনি ১ একর ২০ শতাংশ জমিতে তেজপাতা চাষ করে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন। তার দেখাদেখি অন্যান্য কৃষকের মাঝেও এই ফসল চাষের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। মসলা জাতীয় এই ফসল চাষ করে তিনি বছরে লক্ষাধিক টাকার বিক্রি করতে পারছেন।

বাগান মালিক রহমত আলী বলেন, আমি ২০০৯ সালে অবসর গ্রহনের পর নিজ গ্রামে চলে আসি। তারপর বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষ করি। বাজারে তেজপাতার চাহিদা ও দামের কথা চিন্ত করে ২০১৭ সালে ১ একর ২০ শতাংশ জমিতে ৮০০ তেজপাতা গাছ রোপন করে চাষ শুরু করি। চারা রোপনের ২ বছরের মধ্যেই গাছের পাতা সংগ্রহ ও বাজারজাত করতে পারি। বাগানে চারা লাগানো থেকে শুরু করে সার, কীটনাশক ওষুধ ও বাগান শ্রমিক মিলিয়ে প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ হয়। আশা করছি এবছর দেড় লাখ টাকার তেজপাতা বিক্রি করতে পারবো। গত বছর প্রায় ১ লাখ টাকার তেজপাতা বিক্রি করেছি।

রহমত আলী আরও বলেন, আমার বাগানের খবর সব জায়গায় পৌছায়নি। তাই ব্যবসায়ীরা না জানায় পাতা বাজারজাতে সমস্যায় পড়েছিলাম। এ ব্যাপারে সরকারি কৃষি বিভাগের সহায়তা পাওয়া গেলে তেজপাতা বাজারজাত করা সহজ হবে।

কৃষি বিভাগ জানায়, দিনাজপুর জেলায় মসলা ও ঔষধি গুণে সমাহার তেজপাতা চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। মসলা জাতীয় এই ফসলটি চারা রোপনের মাত্র দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যেই ফলন দেয়। বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা তেজপাতা ১১০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এই পাতা বছরে ২-৩ বার সংগ্রহ করা যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, রহমত আলী একজন সফল কৃষক। আমরা কৃষি অধিদপ্তর থেকে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। তার তেজপাতা বাগানের সাফল্য অন্যান্য কৃষকদের অনুপ্রেরণা জুগাচ্ছে।

Advertisement