Homeসব খবরজেলার খবরবাণিজ্যিকভাবে অ্যাভোকাডো চাষ করছেন ঝিনাইদহের হারুন

বাণিজ্যিকভাবে অ্যাভোকাডো চাষ করছেন ঝিনাইদহের হারুন

বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে অ্যাভোকাডো চাষ নতুন হলেও তার এই সফলতা দেখে বেকার যুবকরা আগ্রহী হচ্ছেন অ্যাভোকাডো চাষে। ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারী গ্রামের হারুন অর রশিদ মুছা বাণিজ্যিকভাবে অ্যাভোকাডো চাষ করে সফল হয়েছেন।

২০১৯ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণার সাবেক মহাপরিচালক এনামুল হকের সহযোগিতায় বিদেশি ব্যয়বহুল অ্যাভোকাডোর চারা এনে রোপণ করেন। গত ২ বছর ধরে তার গাছে অ্যাভোকাডো ধরছে। এখন তার বাগানে প্রায় ২৫০ অ্যাভোকাডো গাছ রয়েছে। আমদানি নির্ভর ফল হওয়ায় এ ফলের দাম সব সময় বেশি থাকে। বিভিন্ন বাজারে এখন প্রতি কেজি অ্যাভোকাডো ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অ্যাভোকাডো চাষের জন্য এ দেশের মাটি ও আবহাওয়া বিশেষ উপযোগী হওয়ায় দেশে এ ফল চাষের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময়।

হারুন অর রশিদ মুছা বলেন, গ্রামের স্কুলেই চাকরি করি। পৈত্রিক সূত্রে ২০ বিঘা জমি পেয়েছি। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণার সাবেক মহাপরিচালক এনামুল হকের সহযোগিতায় বিদেশি ব্যয়বহুল অ্যাভোকাডোর চারা এনে রোপণ করি। গত ২ বছর ধরে গাছে অ্যাভোকাডো ধরছে। বর্তমানে বাগানে প্রায় ২৫০ অ্যাভোকাডো গাছ রয়েছে। যার বেশিরভাগেই এ বছর ফল এসেছে। এবার প্রতি কেজি ৫০০ টাকা দরে করে বিক্রি করছি।

তিনি আরও বলেন, প্রায় ৫ বিঘা জমিতে অ্যাভোকাডো ছাড়াও সাদা ড্রাগন, পারসিমন, কাঠলিচু, সাদা জামসহ কমপক্ষে ২৫ ধরনের বিদেশি পুষ্টিকর ফলের চাষ করেছি। উন্নত জাতের ড্রাগন ও অ্যাভোকাডোর চারাও বিক্রি করছি।

কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মহসীন আলী বলেন, হারুন অর রশিদ মুছা একজন স্কুলশিক্ষক। চাকরির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ফলের চাষ করে আসছেন। তিনি অনেক বিদেশি পুষ্টিকর ফলের চাষ করেছেন। তার মধ্যে মেক্সিকান জাতের অ্যাভোকাডো অন্যতম। আমরা হারুনের বাগানের নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছি এবং তাকে বিভিন্ন পরমর্শ দিয়ে আসছি।

Advertisement