Homeঅন্যান্যবাংলাদেশের হাট মাতাচ্ছে আমেরিকান গোলাপি মহিষ

বাংলাদেশের হাট মাতাচ্ছে আমেরিকান গোলাপি মহিষ

দেশে কোরবানির বাজারে গরু, ছাগল, দুম্বার পাশাপাশি বাড়তে শুরু করেছে অ্যালবিনো জাতের মহিষের চাহিদা। গোলাপি রঙের এ মহিষ মূলত আমেরিকার বিভিন্ন এলাকার। রং ও স্বাদের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কোরবানি বাজারে এই জাতের মহিষের চাহিদা বেড়েছে।

সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ায় দেশের খামারিরাও উৎসাহী হয়ে গোলাপি মহিষ পালন বাড়িয়ে দিয়েছেন। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কোরবানির পশুর হাটে দেখা যাচ্ছে অ্যালবিনো জাতের গোলাপি মহিষের আধিক্য।

সাভারের আশুলিয়ায় একটি খামারে পরম যত্নে প্রায় অর্ধশত অ্যালবিনো জাতের গোলাপি রঙের মহিষ পালন করা হচ্ছে। শ্রীপুরের গণকবাড়ি এলাকার ‘কাইয়ুম অ্যাগ্রো’ নামে ঐ খামারে অ্যালবিনো ছাড়াও মুররাহ, নিলিরাভি ও জাফরাবাদী জাতের মহিষ দেখা গেছে। গত কয়েক বছর ধরেই এ খামারে অন্যান্য জাতের মহিষের সঙ্গে গোলাপি মহিষও পালন করা হচ্ছে।

খামারের মালিক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের বাজারে এই গোলাপি মহিষ বিক্রি হচ্ছে কয়েক বছর ধরেই। গোলাপি মহিষগুলো দেখতে যেমন নজরকাড়া এবং মাংসও খেতে সুস্বাদু। শুধু বাইরে থেকে নয়, মাংস দেখতেও গোলাপি রঙের। এই খামারে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই গোলাপি মহিষ। একেকটি অ্যালবিনো মহিষের ওজন হয় প্রায় ৪০০ থেকে ৯০০ কেজি পর্যন্ত।

তিনি আরো বলেন, প্রায় ৯ বছর আগে শখের বশে ৭ বিঘা জমির উপর এই খামার গড়ে তোলেন তিনি। প্রথমে শুধু গরু-ছাগল থাকলেও এখন এখানে আছে মহিষ ও দুম্বা।

মহিষ পালনের সুবিধার বিষয়ে কাইয়ুম বলেন, মহিষের রোগ ব্যাধি কম হয়। গরুর চেয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মহিষের অনেক ভালো। মহিষের মাংসে গরুর চেয়ে ক্ষতিকর উপাদান কম আছে। এছাড়া মহিষ পালনে লাভ বেশি। অনেকেই এখন মহিষের মাংসের দিকে ঝুঁকছেন। তাই আমিও মহিষ পালন শুরু করেছি।

তিনি বলেন, সাধারণত ৩০০ থেকে ৬০০ কেজির মহিষ বিক্রি হয় প্রতিকেজি ৪৮০ টাকা দরে। তবে এর চেয়ে বড় আকারের মহিষ আর ওজনে বিক্রি হয় না। এছাড়া খামার থেকে অনলাইনেও গরু বা মহিষ দেখে কেনার সুযোগ আছে। ঢাকার আশপাশে আছে ফ্রি ডেলিভারির সুযোগ।

Advertisement