Homeসব খবরজেলার খবরপেঁপে চাষে কৃষকের লাখ টাকা আয়

পেঁপে চাষে কৃষকের লাখ টাকা আয়

৪-৬ ফুট উচ্চতার গাছ গুলোতে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে সবুজ ও হলুদ রঙের অসংখ্য পেঁপে। পেঁপের ভালো ফলন পেয়ে খুশি তিনি। ভোলা জেলার সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ইয়ানুর রহমান বিপ্লব পেঁপে চাষে সফল হয়েছেন। তিনি গ্রীন লেডি ও টপ লেডি জাতের পেঁপে তার জমিতে চাষ করে সফল হন।

ভোলার মাটি ও আবহাওয়া পেঁপে আবাদে বেশ উপযোগী। চাষিরা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পেঁপের চাষ করে থাকেন। ২০০৫ সালে শখের বশে পেঁপে গাছ লাগালেও ২০১০ সাল থেকে বাণিজ্যকভাবে চাষ করা শুরু করেন বিপ্লব। ধান, আদা ও পেঁয়াজ, মাছ চাষের পাশাপাশি বিভিন্ন ফলেরও গাছ লাগিয়েছেন। বর্তমানে ‍তিনি গ্রীন লেডি ও টপ লেডি জাতের পেঁপে চাষ করছেন। তার পেঁপে বাগানের প্রায় সবগুলো গাছে থোকায় থোকায় হলুদ ও সবুজ রঙের পেঁপে ঝুলছে।

ইয়ানুল বলেন, এবছর প্রায় ২ একর জমিতে ৩০ টাকা করে ২ হাজার পেঁপে চারা কিনে রোপন করি। এই পেঁপের বাগান করতে সব মিলিয়ে প্রায় ৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। চারা লাগনোর তিন মাস পরেই গাছে প্রচুর পরিমাণে ফলন আসে। আমি আরো তিন মাস পেঁপে পাঁকার জন্য অপেক্ষা করি। প্রতিটা গাছেই ফলন এসেছে। গত কয়েক দিনে প্রায় ২ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেছি। কাঁচা পেঁপের তুলনায় পাকা পেঁপের কদর বেশি।

তিনি আরও বলেন, বিগত ছয় মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে দুইদিন পর পর ৫-৭ মণ করে পাকা পেঁপে বিক্রি করছি। বর্তমানে প্রতিটি গাছে ৪০ থেকে ৪৫ কেজি করে পেঁপে রয়েছে। প্রতিটি গাছ থেকে অন্তত ১০০ কেজি করে পেঁপে বিক্রি করতে পারার আশা করছি। বেপারিরা বাগানে এসে প্রতি কেজি পেঁপে ৭০ টাকা দরে কিনে নিচ্ছে। আশা করছি এখনো গাছে যে পরিমান পেঁপে রয়েছে তা প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ রিয়াজউদ্দিন বলেন, ইয়ানুর রহমান একজন সফল কৃষক। তিনি বিভিন্ন ফসল চাষে সফল হয়েছেন। এবার তিনি পেঁপে চাষ করে সফল হয়েছেন। তাঁর চাষ করা পেঁপেগুলো আকারে বেশ বড় ও খেতে খুব মিষ্টি।

Advertisement