Homeসব খবরবিনোদনপলাশকে শুধু দেশে নয়, সারাবিশ্বে জনপ্রিয় হিসেবে দেখতে চাই...

পলাশকে শুধু দেশে নয়, সারাবিশ্বে জনপ্রিয় হিসেবে দেখতে চাই : অমি

পলাশের স্ত্রীর নাম নাফিসা রুম্মান মেহনাজ। নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে স্নাতক সম্পন্ন করে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর করছেন তিনি। পাশাপাশি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। বিয়ে করলেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশ। পারিবারিকভাবে সম্প্রতি সময়ের আলোচিত এ অভিনেতা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পলাশের দূরসম্পর্কের আত্মীয় ছিলেন নাফিসা রুম্মান মেহনাজ। পূর্বপরিচিত থাকায় পলাশ তার বাবা মায়ের পছন্দেই নাফিসাকে বিয়ে করেন।

পলাশ জানতে পারেন, অভিনয়ে জনপ্রিয়তা পাওয়ার অনেক আগে থেকে নাফিসা তাকে পছন্দ করতেন। পরিচয়ের মাস তিনেক পর পলাশ-নাফিসার সখ্যতা বাড়তে থাকে। বেশকিছু দিন আগে পরিবারের সম্মতিতে নাফিসাকে বিয়ে করেন তিনি। এতই ব্যস্ত যে, এখনও মধুচন্দ্রিমাতে যেতে পারেননি। অভিনয়-নির্মাণ সবকিছু নিয়ে ভীষণ ব্যস্ততা যাচ্ছে পলাশের।

পলাশ আরও বলেন, বাবা মায়ের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে বিয়ে করেছি। আলহামদুলিল্লাহ্, দাম্পত্যজীবনে আমরা ভীষণ সুখে আছি। সবার কাছে দোয়া চাই, জীবনের বাকিটা সময় যেন পরষ্পরের অপরিহার্য হয়ে একসঙ্গে থাকতে পারি।

পরিচালক কাজল আরেফিন অমির সহকারী থেকে অভিনয়ে আসেন পলাশ। জনপ্রিয় এই নির্মাতার সিরিয়াল ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর কাবিলা চরিত্র পলাশকে তারকাখ্যাতি এনে দিয়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি পলাশ নির্মাণেও মনোযোগী। কয়েকটি টিভিসি, মিউজিক ভিডিও ও নাটক নির্মাণ করে প্রশংসা অর্জন করেছেন।

অভিনেতা পলাশ জানান, ঘরোয়া পরিসরে অনাড়ম্বর আয়োজনে তার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। বিয়েতে দুই পরিবারের সদস্যরা ছাড়া কেউ ছিলেন না। আগামী ফেব্রুয়ারিতে বড় পরিসরে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করার পরিকল্পনা আছে।

এদিকে, শুক্রবার দুপুরে নিজের ফেসবুকে শুভ কামনা জানিয়ে একটি পোস্ট দেন অমি। কেননা তার সহকারী হিসেবেই কাজ শুরু করেছিলেন পলাশ।পোস্টে কাজল আরেফিন অমি লেখেন, আপনাদের আমাদের সবার প্রিয় জিয়াউল হক পলাশ। ২০১৬ সালের মার্চ-এপ্রিলের দিকে পলাশ আমার সাথে সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করে। অত্যন্ত পরিশ্রমী ও বাধ্যগত ছেলে পলাশ।

নির্মাতা আরো জানান, আমার বিভিন্ন কাজে জোর করে পলাশকে দিয়ে এক সিকোয়েন্স, দুই সিকোয়েন্স করে অ্যাক্টিং করাতাম, ও কখনোই অ্যাক্টিং করতে চাইত না। বলত, অ্যাক্টিং করলে আমি ডিরেকশনের কাজে মনোযোগী হতে পারি না। কাবিলা নামকরণের প্রসঙ্গ এনে বলেন, কিন্তু আমার কেন যেন সব সময় মনে হতো, ওকে দিয়ে আলাদা কিছু করানো সম্ভব। সে জন্য আমি আমার হাল ছাড়িনি, একটার পর একটা চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি। এই চেষ্টা, পলাশের পরিশ্রম এবং আপনাদের ভালোবাসার ফল আজকের পলাশ ওরফে কাবিলা।

পলাশকে নিয়ে ভালো লাগার বিষয়ে লিখতে গিয়ে বলেন, দেখতে দেখতে ও কত বড় হয়ে গেল, নিজে ডিরেকশন শুরু করল, অভিনেতা হিসেবে সারা দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে গেল। ওকে নিয়ে রাস্তায় বের হলে মানুষ যখন হুমড়ি খেয়ে পড়ে, বলে বোঝাতে পারব না আমার কতটুকু ভালো লাগে। কেউ এটা ফিল করতে পারবে না। শুভাশীষ জানিয়ে অমি বলেন, আমি চাই ও জীবনে আরো অনেক বড় হোক। আমার চোখে ওর জীবনটা মাত্র শুরু, এখনো অনেক দূর যেতে হবে। আমি পলাশকে শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বে জনপ্রিয় অভিনেতা হিসেবে দেখতে চাই।

Advertisement