Homeসব খবরজেলার খবরপরিত্যক্ত জমিতে বস্তায় বাদাম চাষে সফল আব্দুল মালেক!

পরিত্যক্ত জমিতে বস্তায় বাদাম চাষে সফল আব্দুল মালেক!

সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে বস্তায় আদা চাষ করার খবর শোনা গেলেও বস্তায় বাদাম চাষের কথা কেউ চিন্তা করেনি। এই বস্তা পদ্ধতিতে বাদামের চাষ করে আব্দুল মালেক বাম্পার ফলন পেয়েছেন। তার সফলতা দেখে অনেকেই চাষ করার জন্য আগ্রহী হয়েছেন। পরিত্যক্ত জমিতে বস্তায় বাদাম চাষে কৃষি উদ্যোক্তা আব্দুল মালেকের বাজিমাত।

কৃষি উদ্যোক্তা আব্দুল মালেক রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বস্তায় বাদাম চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। কারণ এর আগে বস্তায় মসলা জাতিয় ফসল ও বিভিন্ন সবজির চাষ করা হয়েছে। তিনিই প্রথম যে বস্তায় বাদাম চাষ করেছেন। এবং ভাল ফলনও পেয়েছেন। তার এই সফলতায় এলাকায় বেশ সাড়া পড়ে যায়।

কৃষি উদ্যোক্তা আব্দুল মালেক বলেন, আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে বস্তায় অনেক ধরনে সবজির চাষ হয়েছে। তাই আমি বস্তায় বাদাম চাষের কথা চিন্তা করলাম। তারপর লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা দইখাওয়াহাট থেকে হাইব্রীড ও নওরী জাতের ৩ কেজি বীজ বাদাম সংগ্রহ করি। প্রথমে আমার পরিত্যক্ত ৬ শতাংশ জমিতে ৫০০ বস্তায় বাদামের চাষ শুরু করি। চাষে আমার স্ত্রী ও মেয়ে দুইজনই সহযোগিতা করেছে। বাদামের পাশাপাশি আরো ১০০ বস্তায় করলা, মরিচ, পানিকুমড়া, টমেটো, শিম ও বেগুনের চাষ করছি। এই ৬০০ বস্তায় চাষে আমার ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। আশা করছি ভাল ফলন পেলে সব মিলিয়ে প্রায় ৬০ হাজার টাকার বেশি বিক্রি হবে। এবছর লাভ হলে আগামীতে আরো বড় পরিসরে চাষ করবো।

আব্দুল মালেক আরও বলেন, আমার বস্তায় বাদাম চাষের খরচ চারিদিকে ছড়িয়ে যাওয়ার পর অনেক কৃষক পরামর্শ নিতে আসছে। এছাড়াও এলাকার অনেক যুবক এই পদ্ধতিতে চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন বলেন, দেশে আগে বস্তায় আদা ও অন্যান্য সবজি চাষ করা হতো। কৃষি উদ্যোক্ত আব্দুল মালেক বস্তায় বাদাম চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। আমরা তার বাড়িতে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। বস্তায় চাষ খুব লাভজনক। এতে গাছের কোনো রোগবালাই হয় না। এভাবে বাদাম চাষ করতে চাইলে আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শসহ আমাদের কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। আধুনিক চাষ পদ্ধতিতে বাদাম গাছে পানি ও কীটনাশক লাগে খুবই সীমিত।

Advertisement