পদ্মা সেতুতে কেক কেটে বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করেন এক দম্পতি। তাদের পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। ফেসবুকে তাদের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, পদ্মা সেতুর উপর দাঁড়িয়ে তারা কেক কাটে ও একে অপরকে কেক খাওয়ায় দেয়। সেই সাথে তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ভিডিওতে বলতে শুনা যায়, পদ্মা সেতু হওয়াতে তারা সুস্থি প্রকাশ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রীর কারণে আজকের স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। সেই সাথে শ্লোগানও দেন তারা- জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
এর আগে, পদ্মা সেতু দেখতে থাইল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড থেকে এসেছে অনেকে। এমন রেকর্ডও আছে। গত শনিবার (২৫ জুন) উদ্বোধনের পর থেকেই জনগন উল্লাশে মেতেছেন। রবিবারের পদ্মা সেতু জনগনের জন্য উন্মুক্ত করার পর থেকে জনগন টোল দিয়ে জাতায়াত করছে কেও দলবেঁধে বা কেও নিজের মত করে। এতে দেখা গেছে টিক টকের অনেক আনাগোনা। এমন কি অনেকে ট্রাক ভাড়া করে পিকনিকও করতে আসেছে। এছাড়াও পদ্মা সেতু দেখতে আসেছেন থাইল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড থেকে। আবার অনেকেই খুলনা ও তার আশপাশের এলাকা থেকে পুরো সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে পদ্মা সেতুতে আনন্দ করতে এসেছেন।
অন্যদিকে, পদ্মাসেতুর ওপর দুটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৬ জুন) সন্ধ্যার পর এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মো. আলমগীর হোসেন (২২) ও মো. ফজলু (২১)। পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। গত রবিবার রাতে সেতু বিভাগ এ নির্দেশনা দিয়েছে। তথ্য অধিদফতর থেকে গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য পাঠানো এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানানো হয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলা বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, উদ্বোধনের পরদিন ভোরে পদ্মা সেতুতে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। ভোর ৬টা থেকে গাড়ি ছাড়ার ঘোষণা থাকলেও ১০ মিনিট আগেই সুযোগ করে দেওয়া হয়। তার আগে রাত থেকেই পদ্মামুখী মানুষের অপেক্ষা ছিল টোলপ্লাজা ঘিরে। এ অপেক্ষা দুর্ভোগের নয় আনন্দের। প্রথম সেতু পাড়ি দেওয়ার ইচ্ছা থেকে। সেতুতে গাড়ি চলাচল শুরু হলে মাওয়া ও জাজিরা দুপ্রান্ত মিলে ৮ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ২০০ গাড়ি চলাচল করেছে। ওইদিন ভোর ৬টার পর একদিনে কী পরিমাণ গাড়ি চলেছে তা জানা সম্ভব হবে। তিন শিফটে ৮ ঘণ্টা করে গাড়ির টোল আদায়ের কাজ করছে কর্মীরা। তবে প্রথম দিনেই ধারণার চেয়ে বেশি গাড়ি চলেছে।