Homeসব খবরজেলার খবরপদ্মায় ধরা পড়া দুষ্প্রাপ্য ঢাঁই মাছ

পদ্মায় ধরা পড়া দুষ্প্রাপ্য ঢাঁই মাছ

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় পদ্মা নদীতে ধরা পড়েছে ৭ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের একটি ঢাঁই মাছ। প্রায় ২৩ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি হয়েছে।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের চর করনেশনা-মজলিশপুর এলাকায় জেলে হজরত মণ্ডলের জালে মাছটি ধরা পড়ে। তার কাছ থেকে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরি ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ মাছটি কিনে নেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে জাল নিয়ে নদীতে মাছ শিকারে বের হন বাহিরচর দৌলতদিয়া চাঁদখানপাড়ার জেলে হজরত মণ্ডল। বাহিরচর থেকে জাল ফেলে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে উজানচর ইউপির চর করনেশনা-মজলিশপুর এলাকায় জাল নৌকায় তুলে তিনি দেখতে পান বড় একটি ঢাঁই মাছ। সঙ্গে উঠে আসে আরও দুটি ইলিশ। বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন দৌলতদিয়া ঘাট বাজারে দুলাল মণ্ডলের আড়তে। এ সময় নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ মাছগুলো কেনেন।

মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ জানান, ঢাঁই বা শিলং মাছ দেখতে অনেকটা পাঙাশের মতো। এটি রূপালি রঙের আঁশবিহীন মাছ। পদ্মা নদীতে বছরে দু-একটি বড় ঢাঁই মাছ ধরা পড়ে। এ মৌসুমে এত বড় ঢাঁই এই প্রথম পাওয়া গেল। মাছটির ওজন প্রায় ৭ কেজি ১০০ গ্রাম। ৩ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে ২২ হাজার ৭০০ টাকায় মাছটি তিনি কিনেছেন। মাছটি তার ফেরিঘাট আড়তে বিক্রির জন্য রেখে দিয়েছেন। কেজিপ্রতি তিনি ২০০ টাকা করে লাভ পেলেই বিক্রি করবেন।

গোয়ালন্দ উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজবাড়ী সদর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজীব বলেন, ঢাঁই বা শিলং হচ্ছে ক্যাটফিশ জাতীয় সুস্বাদু ও খরস্রোতা নদীর আঁশবিহীন রূপালি রঙের মাছ। এ মাছ লম্বায় সাধারণত ১৮৩ সেন্টিমিটার, ওজনে ৩ থেকে ১০ কেজি হয়। রূপালি রঙ এবং পাখনাগুলো লাল রঙের হয়। অন্যান্য ক্যাটফিশের তুলনায় এই মাছ ডিম কম দেয়। বর্ষায় প্রাপ্তবয়স্ক মাছ প্রজননের জন্য ছোট নদী থেকে বড় নদীতে আসে। ঢাঁই বেশ দুষ্প্রাপ্য ও দামি মাছ।

সূত্র: সময় নিউজ।

Advertisement