Homeসব খবরজেলার খবরনাগা মরিচ চাষে এনামুলের বছরে আয় ২০ লাখ!

নাগা মরিচ চাষে এনামুলের বছরে আয় ২০ লাখ!

এনামুল মিয়া দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বেশি ঝাল মরিচ হিসেবে খ্যাত নাগা মরিচ চাষে সফল। তিনি এই মরিচ চাষে বেশ সাড়া ফেলেছেন। ৩ একর জমিতে এই মরিচের চাষ করে তিনি বছরে প্রায় ২০ লাখ টাকা আয় করেন। তার এমন সফলতা দেখে অনেকেই নাগা মরিচ চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

এনামুল মিয়া হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার কাজী মহল্লার বাসিন্দা। তার মরিচের বাগানটি এলাকার গাছগুড়ি হাওরে অবস্থিত। সর্বোচ্চ ঝাল মরিচ হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পাওয়া ‘নাগা মরিচ’ চাষে তিনি বিপ্লব ঘটিয়েছেন। তার জমির গাছগুলো বারোমাসি হওয়ায় পুরো শুকনো মৌসুম জুড়েই তিনি এর ফলন পান। এবং বিক্রি করে লাভবান হতে পারেন। এটির অসাধারন গন্ধ ও ঝালের ঝাঝে চোখ ও নাক ছুয়ে যায়। বর্তমানে তার জমিতে বুকসমান উঁচু হাজারো গাছে ঝুলছে সবুজ আর লাল নাগা মরিচ।

এনামুল মিয়া বলেন, প্রথমে আমি শখের বশে ১ টি মরিচ থেকে ৬টি চারা করে জমিতে রোপন করি। ফলন ভালো পাওয়ায় আরো বেশি চারা লাগাই। বর্তমানে আমি ৩ একর জমিতে নাগা মরিচের চাষ করছি। আমার জমিতে প্রায় ৩০ হাজার নাগা মরিচের গাছ রয়েছে। প্রত্যেকটি গাছে প্রায় শতাধিক মরিচ ধরেছে। এখন প্রতিদিনই মরিচ তুলে বিক্রি করছি। পাইকাররা জমিতে এসে মরিচ কিনে নেন। প্রতি কেজি মরিচ ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। সব খরচ বাদ দিয়ে তার বছরে প্রায় ২০ লাখ টাকা আয় হয়। বারোমাসি এই গাছগুলো থেকে শুকনো মৌসুমের পুরোটাজুড়েই উৎপাদন অব্যাহত থাকে।

জমি দেখতে আসা চিকিৎসক মঈনুল হাসান শাকীল বলেন, সাধারনত এই মরিচ পাহাড়ি এলাকায় হয়ে থাকে। তবে এনামুল এই হাওর অঞ্চলেও এর চাষ করে অসম্ভবকে সম্ভব করার মতোই কাজ করেছেন।

Advertisement