Homeসব খবরক্রিকেটদেশের প্রথম ক্রিকেট গেমিং অ্যাপ ‘হাউজ্যাট- মুশি দ্য ডিপেন্ডেবল”

দেশের প্রথম ক্রিকেট গেমিং অ্যাপ ‘হাউজ্যাট- মুশি দ্য ডিপেন্ডেবল”

মুশফিকুর রহিমকে ব্র্যান্ডিং করে দেশে তৈরি হল প্রথম ক্রিকেট গেমিং অ্যাপ হাউজ্যাট মুশি দ্য ডিপেন্ডেবল । যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে কেপিসি এন্টারপ্রাইজ ও টারটেইল সলিউশনস। শুক্রবার ঢাকার একটি হোটেলে অ্যাপের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম , গেমিং অ্যাপটির নির্মাতা ও উদ্যোক্তা কেপিসি এন্টার প্রাইজের চেয়ারম্যান কাজী সাজেদুর রহমান, গেমিং অ্যাপটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও টারটেইল সলিউশনসের চেয়ারম্যান খান রিফাত সালাম এবং বাংলাদেশ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল হাকিম।

প্রতিমন্ত্রী বলেন , বাংলাদেশের ছেলেরা একটা গেমিং অ্যাপ তৈরি করেছে। আমি দেখলাম এটা একটা বিশ্ব মানের গেম। তিনি আরো বলেন, যেভাবে মুশফিকুর রহিম আমাদের দেশকে অনেক জয় এনে দিয়েছেন। আগামী দিনে তার নেতৃত্বে গেমিং বিশ্বেও আমরা নেতৃত্বে দিতে পারি। তিনি জানান, অল্পদিনের মধ্যেই বাংলাদেশে বিলিয়ন ডলারের গেমিং -এর বাজার তৈরি হবে এবং লক্ষাধিক তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে। এজন্য এরইমধ্যে আইসিটি ডিভিশন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ল্যাব স্থাপনের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা ছাড়াও বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।গেমিং অ্যাপটিতে ক্রিকেটের প্রায় সবধরনের ব্যাটিং স্ট্রোক এবং বোলিং অ্যাকশান যুক্ত করা হয়েছে।

রয়েছে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মোডিউল: জেনারেল, মাল্টিপ্লেয়ার এবং লিজেন্ডারি মোড।জেনারেল মোডে একজন ইউজার বেছে নিতে পারবেন প্রতিপক্ষ দেশ; যার বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন তিনি। মাঠে নামবেন মুশফিক হয়ে। বেছে নিতে পারেন পছন্দের টুর্নামেন্ট, খেলার মাঠ। আছে দিন-রাতের ম্যাচ, আবহাওয়া, টস, রিভিউ সিস্টেম, থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত এবং ধারাভাষ্যকারের বর্ণনা। সব মিলে শতাধিক অপশন আর ফাংশন।ঘরে বসে মাঠের অনুভূতি দেবার জন্য যুক্ত করা হয়েছে হাইডেফিনেশন গ্রাফিক্স। গেমটির মাল্টিপ্লেয়ার মোডে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সুযোগ আছে।বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অনলাইনে থাকা বন্ধুদের নিয়ে সেখানে চার বা আট জনের টিম তৈরি করা যাবে।

তারা নিজেদের মধ্যে ফ্রেন্ডশিপ ম্যাচ বা টুর্নামেন্ট খেলতে পারবে এবং চাইলে সেটা সরাসরি নিজের ফেসবুক বা ইউটিউব থেকে লাইভ স্ট্রিমিং করতে পারবে।তবে হাউজ্যাট-মুশি দ্য ডিপেন্ডাবলের সবচেয়ে আকর্ষনীয় মোড হলো লিজেন্ডারি মোড। তারকা মুশফিকুর রহিম তার ক্যারিয়ারে এমন অনেক ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তিনি প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচটি একাই জিতিয়ে এনেছেন। লিজেন্ডারি মোডে একজন ইউজার এমন একটি জায়গা থেকে খেলা শুরু করবেন যেখান থেকে জিতে আসা বেশ কঠিন। কঠিন সেই চ্যালেঞ্জটি মাথায় নিয়ে তাকে মুশফিক হয়ে মাঠে নামতে হবে।বাংলাদেশ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আমিনুল হাকিম বলেন, যারা গেম ডেভলপার, আমি তাদের সবসময় এগিয়ে রাখার চেষ্টা করি।

তাইতো গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেন কোন মানুষ গেইম ডেভেলপমেন্টে এগিয়ে যেতে পারে, আমরা সর্বস্তরে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি করেছি।টারটেইল সলিউশনসের চেয়ারম্যান খান রিফাত সালাম জানান, এই গেমের পেছনে ১৮ মাসের রিসার্চ কাজে লেগেছে। নিরলম পরিশ্রম করেছে বাংলাদেশের আট গেইম ইঞ্জিনিয়ার। বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা।২০৩০ সাল নাগাদ প্রায় ২৩০ বিলিয়ন ডলারের বাজার হয়ে যাবে, তখন যেন অন্তত ১ শতাংশ আমাদের দেশের কন্ট্রিবিউশন থাকে।গেমিং অ্যাপটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কেপিসি এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান কাজী সাজেদুর রহমান বলেন , আর কিছু দিনের মধ্যেই মাল্টি প্লেয়ার গেম হয়ে যাবে মুশি দ্য ডিপেন্ডেবল। তখন আমরা ঘরে বসেই বিশ্বের সাথে কানেক্ট করতে পারবো।

রিয়েল টাইম ক্রিকেটের সাথে মিল রেখেই ভার্চুয়াল জগতের জন্য তৈরি এই গেমটি খেলা যাবে অনলাইন-অফলাইন দুই মাধ্যমেই।মানুষের আগ্রহ সম্পর্কে ধারণা পেতে গেমিং অ্যাপটির একটি বেটা ভার্সন গুগল অ্যাপ স্টোরে আপলোড করা হয়।মাত্র ২৪ ঘন্টায় এক লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি সাবস্ক্রিপশন যুক্ত হয় এবং এক সপ্তাহে প্রায় ৫০ লক্ষ বার খেলা হয়েছে গেমটি।এই গেমস থেকে প্রাপ্ত অর্থের দুই শতাংশ মুশফিক ফাউন্ডেশনে যাবে।-টেক শহর

Advertisement