Homeঅন্যান্যদেড় মণ ওজনের কাঁঠাল!

দেড় মণ ওজনের কাঁঠাল!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার হাট বাজারে জমজমাট মৌসুমী ফল কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে। এখানকার কাঁঠাল মিষ্টি রসালো ও স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় হওয়ায় সারা দেশে এর চাহিদা রয়েছে বেশ ভালো। এদিকে মঙ্গলবার পৌর শহরের সড়ক বাজার এলাকায় দেড় মণ ওজনের এক কাঁঠাল বিক্রি হয়েছে ৮ শ টাকায়। বাজারে বড় আকারের কাঁঠাল দেখতে অনেকেই ভিড় জমান। অনেকেই বড় আকারের কাঁঠাল দেখে ছবি তোলেন।

স্থানীয় লোকজন জানায়, এ মৌসুমে বিশাল আকারের কাঁঠাল তারা বাজারে উঠতে দেখেন নি। বাজারে আগত লোকদের সবার নজর কাড়ছে এই বিশাল আকারের কাঁঠাল।

কাঁঠাল বিক্রেতা মো. সেলিম খন্দকার জানান, সড়ক বাজার এলাকায় গত দেড় মাস ধরে বিভিন্ন জায়গা থেকে কাঁঠাল ক্রয় করে বিক্রি করছি। সর্বশেষ উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের চানপুর গ্রাম থেকে ছোট বড় বেশ কয়েকটি কাঁঠাল কেনা হয়। এরমধ্যে ১ মণ থেকে দেড় মণের কাঁঠাল রয়েছে ৮টি। এরইমধ্যে দুটি বড় আকারের কাঁঠাল বিক্রি হয়েছে। দেড় মণ ওজনের একটি কাঁঠাল ৮ শ ও ১ মণ ওজনের একটি কাঁঠাল ৫ শ টাকায় বিক্রি হয়। সব চাইতে বড় ওজনের কাঁঠালের দাম হাঁকিয়েছিলেন ১ হাজার টাকা। কাঙ্খিত দাম পেলে বাকী কাঁঠাল বিক্রি করা হবে।

তিনি আরো জানান, গাছের মালিক জানিয়েছেন বাড়ি সংলগ্ন বেশ কয়েকটি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। এরমধ্যে ৪টি গাছে বড় আকারের বেশ কয়েকটি কাঁঠাল ধরছে। কাঁঠাল উঠা নামা করতে দুজন লোক লেগে যায়। বাজারে আনার পর এতো বড় কাঁঠাল দেখে মানুষ বেশ অবাক হয়ে অনেকে ছবি তুলেছেন। এতে আমার খুবই ভালো লেগেছে।

ক্রেতা মো. আলী হোসেন বলেন, গতমাসে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছে। জামাইসহ বেশ কয়েকজন মেহমান আমার বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। মেয়ে কাঁঠাল খুবই পছন্দ করেন। বাজারে বড় আকারের কাঁঠাল দেখে পছন্দ হওয়ায় তাই কেনা হয়েছে।

আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম বলেন, কাঁঠালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি, ভিটামিন ই ও ক্যালসিয়াম ফলিক এসিড রয়েছে। পাকা কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণ আঁশ রয়েছে। পাকা কাঁঠাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এ উপজেলায় এবার কাঁঠালের ভালো ফলন হয়েছে। এখানকার কাঁঠাল মিষ্টি ও রসালো হওয়ায় কদর রয়েছে ভালো।

সূত্র: ডেইলি-বাংলাদেশ।

Advertisement