Homeসব খবরজেলার খবরদক্ষিণাঞ্চলের সব নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে

দক্ষিণাঞ্চলের সব নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে

বরিশাল বিভাগের সবগুলো নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পূর্ণিমার আগমন ও ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে অতিক্রম করা নিম্নচাপ লঘুচাপে রূপ নেওয়ায় পানি বাড়ছে। আগামী দুই দিন ধারাবাহিকভাবে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে পানি। এ কারণে নিম্নাঞ্চল ও বরিশাল নগরীর অনেক এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে এসব এলাকার বাসিন্দাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

বুধবার (১০ আগস্ট) বিকেল ৪টায় এই তথ্য জানিয়েছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলানুসন্ধান বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম। তিনি বলেন, বিভাগের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ১০টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মূলত বৈরী আবহাওয়া, পূর্ণিমার আগমন এবং বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ বিদ্যমান থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিকে বন্যা বলা যাবে না। এই কর্মকর্তা বলেন, বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা নদীর পানি ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ভোলা খেয়াঘাট এলাকার তেঁতুলিয়া নদীর পানি ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

দৌলতখান উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ঝালকাঠি জেলার বিশখালী নদীর পানি ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বরগুনা জেলার বিশখালী নদীর পানি ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পাথরঘাটা উপজেলার বিশখালী নদীর পানি ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার এবং উমেদপুরের কঁচা নদীর পানি ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ৬টি নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছিল। আর এখন ১০টি নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করল। উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম বলেন, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভাগের উপকূলে এবং বিভিন্ন শহরে জোয়ারের পাানি ঢুকে পড়েছে। এসব পানি সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা অবস্থান করে। এরপর আবার নেমে যায়। পানি স্থায়ী হলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।

বরিশাল বিভাগীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর এবং নদী বন্দরে ১ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

Advertisement