Homeসব খবরজেলার খবরথেমে না থেকে, গরু পালনে স্বাবলম্বী হানিফ!

থেমে না থেকে, গরু পালনে স্বাবলম্বী হানিফ!

বলছি পানছড়ির খামারি মোঃ হানিফের কথা। তিনি গরু পালন করেই নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন তিনি। বর্তমানে তার দেখাদেখি অনেকেই গরু পালনে আগ্রহী হয়েছেন। দূ/র্ঘটনায় দুই পা হারানোর পরও জীবনকে থামিয়ে রাখেন নি। করছেন কঠোর পরিশ্রম। নিজ বাড়ির আঙিনার এক পাশে ঘর তুলে গরু পালন করছেন। দুই পা না থাকার পরেও সব কাজ নিজেই করে থাকেন।

খামারি মোঃ হানিফ খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার পূর্ব দমদম গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ১৯৯১ সালে সড়ক দূর্ঘটনায় দুই পা হারান। সংসারে অভাব অনটান ও নিজের পা হারিয়েও দমে থাকেননি তিনি। বাড়ির আঙিনার পাশে গোয়াল ঘর তৈরী করে সেখানে গরু পালন করছেন। যার ৭টিই ষাঁড় গরু। আগামী কোরবানীর ঈদে এইগুলো বিক্রি করবেন। বর্তমানে তার ৮টি গরু রয়েছে।

খামারি হানিফ বলেন, পা হারানোর পর আমি হতাশ হয়ে পরিনি। তবে সংসার চালানোর মতো অবস্থায় ছিলাম না। তবে এই পরিস্থিতি আমি মোকাবেলা করেছি। গরু পালনে আমার ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। এই খামারের আয় থেকেই আমার তিন মেয়ের বিয়ে দিতে পেরেছি। এখন আমারদের কোনো কষ্ট নেই। গরুর খাবারের পানি ও ঘর পরিষ্কারের জন্য বিশালাকার পানির ট্যাংক স্থাপন করেছি। প্রতিদিন আমি নিজেই গরুগুলোর পরিচর্যা করছি। এখন আমার খামারে ৮টি গরু আছে। যার ৭টি ষাঁড় গরু। আশা করছি আগামী কোরবানীর ঈদে বিক্রি করে লাভবান হবো। গরুর খাবার, গোসল ও চিকিৎসাসহ সব কাজ নিজ হাতে করি।

পানছড়ি উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সমাপন চাকমা বলেন, স্থানীয় সকল খামারিদের আমরা সহযোগিতা করছি। তারা যদি কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিতে চায় তহালে প্রত্যয়নপত্রসহ সব ধরণের সাহায্য প্রদান করা হবে। তাছাড়া গরুর চিকিৎসার ব্যাপারেও আমরা তাদের খামারগুলো পরিদর্শন করি।

Advertisement