Homeসব খবরজেলার খবরতরমুজের বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা!

তরমুজের বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা!

আবহাওয়া অনুকূলে ও এই অঞ্চলের মাটি উর্বর হওয়ায় বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়াও গাছের কোনো রোগবালাই না হওয়ায় কৃষকের খরচও কম হয়েছে। ফলে বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারদরও ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি বছরে ফরিদপুর জেলার তরমুজ চাষ বিগত বছরে রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

ফরিদপুরের সবগুলো উপজেলার মধ্যে নগরকান্দা, বোয়ালমারী, ফরিদপুর সদর, ভাঙ্গা ও মধুখালী উপজেলায় তরমুজের ব্যাপক চাষ হয়েছে। চলতি বছর গাছে পোকামাকড়ের আক্রমন না হওয়ায় কৃষকরা বাম্পার ফলন পেয়েছেন। বর্তমানে ‍কৃষকরা জমি থেকে তরমুজ তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এছাড়াও রোজার মাস হওয়ায় ভালো দামে বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হতে পারছেন। এখানকার উৎপাদিত তরমুজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। কৃষকরা জমি থেকেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করতে পারছেন।

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের তরমুজ চাষী গোপাল বলেন, আমি গত বছরও তরমুজের চাষ করেছিলাম। লাভ হওয়ায় এবছরও চাষ করেছি। আশা করছি বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো। জমিতে তরমুজের ভালো হয়েছে।

একই এলাকার আরেক কৃষক ফজল বলেন, আমাদের অঞ্চলের উৎপাদিত তরমুজ অন্যান্য জেলার তুলনায় বেশি মিষ্টি। আমরা প্রতি বছরই এর চাষ করি। পাইকাররা জমি থেকেই কিনে নিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত দর ভালো থাকলে লাভবান হতে পারবো। গত বছরের মতো এবছরও আমার জমিতে তরমুজের ভালো ফলন হয়েছে।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ জিয়াউল হক বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর অধিক পরিমানে তরমুজের চাষ হয়েছে। চাষের সাথে সাথে ফলনও বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন রোজা মাস হওয়ায় কৃষকার তাদের উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন। আশা করছি কৃষকরা লাভ করার মাধ্যমে উৎসাহিত হয়ে আগামীতে আরো বেশি জমিতে তরমুজের চাষ করবেন। তরমুজ চাষে আমরা কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছি।

Advertisement