Homeসব খবরক্রিকেটটি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৬ দেশের মধ্যে র‍্যাঙ্কিংয়ের ১৫ নম্বরে বাংলাদেশ!

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৬ দেশের মধ্যে র‍্যাঙ্কিংয়ের ১৫ নম্বরে বাংলাদেশ!

আর পাঁচদিন পর ১৬ অক্টোবর থেকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু হবে। প্রথম দিনে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কা ও নামিবিয়া। মাঠের লড়াই শুরুর আগে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর ওপেনার হিসেবে যারা ব্যাটিং করেছে তাদের নিয়ে আইসিসি র‌্যাঙ্কিং, অতীত পারফরম্যান্স, বর্তমান ফর্ম সবকিছু বিবেচনা করেই এমন একটি তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)।

যেখানে অংশগ্রহণকারী ১৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫তম। শুধুমাত্র নামিবিয়া ছাড়া বাকি সব দেশের ওপেনারদের অবস্থা বাংলাদেশের চেয়ে ভালো। এ তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে পাকিস্তান।

গতবছর আরব আমিরাতে হওয়া বিশ্বকাপ থেকে এখন পর্যন্ত ২৫টি কুড়ি ওভারের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এই ২৫ ম্যাচে ১১ জন ভিন্ন ব্যাটারকে দিয়ে ১৩টি ভিন্ন উদ্বোধনী জুটি খেলিয়েছে বাংলাদেশ। তাই স্বাভাবিকভাবেই নির্দিষ্ট কোনো উদ্বোধনী জুটি নেই এখন টাইগারদের।

সবশেষ এশিয়া কাপের শেষ ম্যাচ থেকে আরব আমিরাত সফর ও নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে ইনিংসের সূচনা করেছেন সাব্বির রহমান ও মেহেদি হাসান মিরাজ। তাই এ দুজনের ব্যাটিং র‌্যাঙ্কিংকে বিবেচনায় রেখেই বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটির র‌্যাঙ্কিং করেছে আইসিসি।

আইসিসি লিখেছে, গত এক বছরে অনেকগুলো উদ্বোধনী জুটি খেলিয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি মেহেদি মিরাজ ও সাব্বির রহমানের ওপর নির্ভর করতে দেখা যাচ্ছে তাদের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টির বেশি ম্যাচ খেলা মিরাজের জন্য এটি ভালো সুযোগ। অন্যদিকে সাব্বির ধারাবাহিকতা খুঁজছেন।

আইসিসি ৬ অক্টোবরের হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ে মিরাজের অবস্থান ১৫১তম, সাব্বির রয়েছেন ৫৮৯ নম্বরে। মিরাজ কুড়ি ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রান করেছেন ১৫.৮৩ গড় ও ১২১.০১ স্ট্রাইকরেটে। সাব্বিরের ক্ষেত্রে এটি ২৩.৪৮ গড় ও ১২০.২২ স্ট্রাইকরেট।

উদ্বোধনী জুটির এ র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের নিচে রয়েছে শুধুমাত্র নামিবিয়া। তাদের দুই ওপেনার ডিভান লা কক ও মাইকেল ফন লিনগেনের এখনও ব্যাটিং র‌্যাঙ্কিংই হয়নি। ডিভান ২৯.৬৬ গড় ও ১২১.৯১ স্ট্রাইকরেটে খেলছেন। অন্যদিকে লিনগেন ১৯.২৯ গড় ও ১০৪.৬৫ স্ট্রাইকরেটে রান করেছেন।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আইসিসির উদ্বোধনী জুটির র‌্যাঙ্কিং-

পাকিস্তান: বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। বাবর আজম আইসিসি ব্যাটিং র‌্যাঙ্কিংয়ে আছেন তিন নম্বরে। ৪৩ এর উপরে গড় এবং ১৩০ এর উপরে স্ট্রাইক রেট বাবর আজমের। সেখানে শীর্ষে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান আছেন ৫২ এর উপরে গড় এবং ১২৮ স্ট্রাইক রেট নিয়ে।

ভারত: র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৪ নম্বরে থাকা লোকেশ রাহুল ৩৯.৫৭ গড় এবং ১৪০ স্ট্রাইক রেটে খেলবেন ওপেনার হিসেবে। র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৬ নম্বরে থাকা রোহিত শর্মা ৩১.৯৪ গড় ও ১৪০.৫৯ স্ট্রাইক রেট নিয়ে খেলবেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।

নিউজিল্যান্ড: ডেভন কনওয়ে এবং মার্টিন গাপটিলকে নিয়ে গড়া কিউই ওপেনিং জুটিকে ওপরের দিকেই দেখছে আইসিসি। যেখানে কনওয়ের গড় ৪৭.২, স্ট্রাইক রেট: ১৩৮.২৮ এবং গাপটিল এর গড় ৩১.৭৯ এবং স্ট্রাইক রেট: ১৩৫.৮।

অস্ট্রেলিয়া: অ্যারন ফিঞ্চ এবং ডেভিড ওয়ার্নারকে নিয়ে গড়া ব্যাটিং লাইন আপ বেশ প্রতাপ রাখবে বিশ্বকাপে। আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে ৬ নম্বরে থাকা ফিঞ্চ ৩৪ গড় এবং ১৪৪ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন। ওয়ার্নার এর অবস্থান ৪৮ নম্বরে যেখানে তার গড় ৩৩.৩, স্ট্রাইকরেট ১৪১.১৮।

শ্রীলংকা: পাথুম নিসাঙ্কা এবং কুশাল মেন্ডিস বেশ দারুণ পারফর্ম করেছেন গেল কয়েক বছর। নিসাঙ্কার গড় ২৯.৬৬, মেন্ডিস রান করেছেন ২০.৯০ গড়ে।

আফগানিস্তান: রহমানুল্লাহ্ গুরবাজ এবং হজরতুল্লাহ্ জাজাই এর ওপেনিং জুটি খুব ভয়ংকর হতে পারে যে কোন ম্যাচে। আইসিসি র‌্যাঙ্কিং এ ১৮ নম্বরে আছেন গুরবাজ, ২৫ গড় এবং ১৩৮ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করছেন তিনি। জাজাই এর গড় ৩২ এবং স্ট্রাইক রেট ১৩৮.৯২।

ইংল্যান্ড: জস বাটলার এবং অ্যালেক্স হেলস এই বিশ্বকাপে ইংলিশদের হয়ে ওপেনিংয়ে নামবেন। ৩২.৭৫ গড় এবং ১৪২.৫৭ স্ট্রাইক রেট জস বাটলারের এবং ৩০ গড় এবং ১৩৬.৯৮ স্ট্রাইক রেট হেলসের।

দক্ষিণ আফ্রিকা: কুইন্টন ডি কক এবং টেম্বা বাভুমা কিছুটা নিচের দিকেই অবস্থান করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বাভুমার ফর্ম একেবারেই পড়তির দিকে। ডি ককের গড় ৩২.২৫ এবং স্ট্রাইক রেট ১৩৪.১২।

আয়ারল্যান্ড: পল স্টার্লিং এবং অ্যান্ডি বালবিরনি। স্টার্লিং ব্যাটিং র‌্যাঙ্কিংয়ে রয়েছেন ২৭ নম্বরে আর বালবিরনি রয়েছেন ৪৯ নম্বরে। স্টার্লিংয়ের গড় ২৮.৬৭ এবং স্ট্রাইক রেট ১৩৪.৮৪। বালবিরনির গড় ২৩.৩৩ এবং স্ট্রাইক রেট ১২৬।

আরব আমিরাত: মোহাম্মদ ওয়াসিম ও চেরাগ সুরি। মোহাম্মদ ওয়াসিম র‌্যাঙ্কিংয়ে রয়েছেন ৯ নম্বরে আর চেরাগ সুরি রয়েছেন ৭৭ নম্বরে। ওয়াসিমের গড় ৪০.৬২ এবং স্ট্রাইক রেট ১৫২.৫৮। সুরির গড় ৩০.৪২ এবং স্ট্রাইক রেট ১১৮.২৩।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ব্রান্ডন কিং এবং কাইল মায়ার্স। ব্রান্ডন কিং র‌্যাঙ্কিংয়ে রয়েছেন ১৯ নম্বরে আর কাইল মায়ার্স রয়েছেন ৭৬ নম্বরে। কিংয়ের গড় ২৪.৬৯ এবং স্ট্রাইক রেট ১২৭.১২। মায়ার্সে গড় ২৪.৫৩ এবং স্ট্রাইক রেট ১৩০.৯৬।

স্কটল্যান্ড: জর্জ মুনশি এবং ক্যালুম ম্যাকলিয়ড। জর্জ মুনশি র‌্যাঙ্কিংয়ে রয়েছেন ২৫ নম্বরে আর ক্যালুম ম্যাকলিয়ড রয়েছেন ৭৮ নম্বরে। মুনশির গড় ২৭.৪৩ এবং স্ট্রাইক রেট ১৪৪.৭৭। ম্যাকলিয়ডের গড় ২৪.২৮ এবং স্ট্রাইক রেট ১১১।

জিম্বাবুয়ে: ক্রেগ আরভিন এবং রেজিস চাকাভা। আরভিন র‌্যাঙ্কিংয়ে রয়েছেন ৯৪ নম্বরে আর চাকাভা রয়েছেন ১০২ নম্বরে। আরভিনের গড় ২২.৬৬ এবং স্ট্রাইক রেট ১০৭.৫৯। চাকাভার গড় ১৬.৩৩ এবং স্ট্রাইক রেট ১২৯.২০।

নেদারল্যান্ড: ম্যাক্স ওদাউদ এবং স্টেফিন মাইবার্গ। ওদাউদ র‌্যাঙ্কিংয়ে রয়েছেন ৪৭ নম্বরে আর মাইবার্গ রয়েছেন ১৪৯ নম্বরে। ওদাউদের গড় ২৯.২৮ এবং স্ট্রাইক রেট ১২৪.০৩। মাইবার্গের গড় ২২.১৫ এবং স্ট্রাইক রেট ১১৫.০৪।

বাংলাদেশ: মেহেদী মিরাজ এবং সাব্বির রহমান রুম্মান। মিরাজ র‌্যাঙ্কিংয়ে রয়েছেন ১৫১ নম্বরে আর সাব্বির রয়েছেন ৫৮৯ নম্বরে। মিরাজেরর গড় ১৫.৮৩ এবং স্ট্রাইক রেট ১২১.০১। সাব্বিরের গড় ২৩.৪৮ এবং স্ট্রাইক রেট ১২০.২২।

নামিবিয়া: ডিভান লা কক এবং মাইকেল ভান লিনগেন। ডিভান লা কক ও মাইকেল ভান লিনগেন এখনো র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রবেশ করেননি। লা ককের গড় ২৯.৬৬ এবং স্ট্রাইক রেট ১২১.৯১। লিনগেনের গড় ১৯.২৯ এবং স্ট্রাইক রেট ১০৪.৬৫।

Advertisement