Homeসব খবরজেলার খবরজৈব পদ্ধতিতে রঙিন কপি চাষে আলমগীরের লাভ দ্বিগুণ!

জৈব পদ্ধতিতে রঙিন কপি চাষে আলমগীরের লাভ দ্বিগুণ!

রঙিন ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষে তিনি কোনো ধরনের বালাইনাশক ও রাসা’য়নিক সা’র ব্যবহার করেননি। সম্পূর্ন নিরাপদ পদ্ধতিতে চাষ করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। এই এলাকায় তিনিই একমাত্র কৃষক যে রঙিন ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ করেছেন। আর এই সবজি বাজারে বিক্রি করে তিনি লাভবান হচ্ছেন। দিনাজপুরে রঙিন ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করে সাড়া ফেলেছেন কৃষক আলমগীর হোসেন।

কৃষক আলমগীর হোসেন সদর উপজেলার শেখপুর ইউনিয়নের দিঘন জঙ্গলপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি কয়েক রঙেন ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষে করে লাভবান হয়েছেন। স্থানীয় বাজারে তার জমির উৎপাদিত হরেক রকমের ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি করা হচ্ছে। আলমগীর অন্যান্য সবজির চাষাবাদ করলেও এবছর রঙিন ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ করেছেন। তার এই সফলতা দেখে অনেকেই রঙিন ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। বাজারে এই সবজির বেশ চাহিদা থাকায় তিনি লাভবান হতে পারছেন।

সবজি বিক্রেতা ইয়াকুব আলীর ঝুড়িতে সাজানো হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি ও বাঁধাকপি। তিনি বলেন, কয়েকদিন যাবত আলমগীর নামে একজন রঙিন ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজারে নিয়ে আসছেন। আমি তার কাছ থেকে কিনে রেখেছি। যোগান কম থাকায় দাম বেশি। এই সবজির আবাদ বাড়লে দাম কমবে। আমার কাছ থেকে যারা কিনে নিচ্ছেন তারা আবার খুঁজছেন।

ক্রেতা রুমানা শারমিন জানান, আমরা সব সময় সাদা ফুলকপি দেখেছি। কিন্তু এমন ফুলকপি আগে দেখিনি। সাদা ফুলকপি প্রতি কেজি ২০ টাকায় পাওয়া গেলেও রঙিন গুলো ৮০-৯০ টাকা কেজি। এখন সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি। তবে সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে। তখন সবাই খেতে পারবে।

কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, আমি এবছর ৪৮ শতাংশ জমিতে সবজি চাষ করেছি। তারমধ্যে হলুদ ফুলকপির ২০০টি, বেগুনি ফুলকপির ১৫০টি ও বেগুনি বাঁধাকপির ২২০০টি চারা রোপন করেছি। এছাড়াও আমি ১৮০০টি চায়নিজ ক্যাবেজ নামে বাঁধাকপির চারাও রোপন করেছি। আমি বিষমুক্ত পদ্ধতিতে এইসব কপি চাষ করেছি। প্রতিটি রঙিন ফুলকপির ওজন দেড় থেকে দুই কেজি পর্যন্ত হয়েছে। বাঁধাকপির ওজনও প্রায় সমান। বাজারে পাইকারি ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে ফুলকপি বিক্রি করেছি। আর বাঁধাকপি ২০-২৫ টাকা পিস পাইকারি বিক্রি করছি। আর আমি সবগুলো কপি বিক্রি করতে পারলে ৫৫-৬০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হবে। জমিতে চারা, সেচ, মজুরিসহ বিভিন্ন খরচ মিলিয়ে ২৫০০০ টাকার মতো খরচ হয়েছে।

স্থানীয় কৃষক পলাশ মিয়া বলেন, আলমগীরের রঙিন ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ দেখতে তার জমিতে গিয়েছিলাম। তার জমিতে ভালো ফলন হয়েছে। সে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবে। বীজ পেলে আমিও এই সবজির চাষ করবো। বাজারে এর ভালো চাহিদা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, রঙিন ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষাবাদে অনেক কৃষক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এই সবজি কৃষক, বিক্রেতা ও ভোক্তা সবার মন জয় করেছে। আমরাও তাদের এই সবজি চাষে সব ধরনে সহযোগিতা করবো। আশা করছি কৃষকরা আরো বেশি পরিমানে এই সবজির আবাদ করবে।

Advertisement