Homeঅন্যান্যজিলাপি বেচে চলে সংসার

জিলাপি বেচে চলে সংসার

শীত এসে গেছে। শীতকে ঘিরে হাট-বাজারে দেখা মিলছে নিত্য নতুন মৌসুমি জিনিসপত্র আর খাবারের। এরমধ্যে গরম জিলাপি বেশ জনপ্রিয়। আড়াই প্যাঁচের এই জিলাপির দোকানগুলোতে ধুম পড়েছে বেচা-কেনার। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে দোকানগুলো।

ভোলার লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন হাটে এরই মধ্যে জমে উঠেছে জিলাপি বিক্রি। রসালো এই খাদ্যটি প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে, যা তৈরি করা হয় চালের গুঁড়া দিয়ে। উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে দুই ধরনের জিলাপি দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে আখের গুড় ও চিনির তৈরি জিলাপী রয়েছে। দুই ধরনের জিলাপীর দাম একই। জিলাপিতে মিলছে বিক্রেতাদের জীবিকা আর ক্রেতাদের মিটছে শখ।

লালমোহন পৌরশহরের মহাজনপট্টি এলাকাতে শীতকে কেন্দ্র করে বসেছে বেশ কয়েকটি জিলাপির দোকান। প্রতি বছরের এ সময়ে দোকানগুলো বসে এখানে। মহাজনপট্টির জিলাপি বিক্রেতা মো. মিরাজ হোসেন বলেন, বিশ বছর ধরে শীত মৌসুমে জিলাপি বিক্রি করি। অন্য সময় ঘুরে ঘুরে আখের রস বিক্রি করি। শীতের এই মৌসুমে মানুষজনের কাছে জিলাপির কদর অনেক বেশি। এক মাস আগ থেকে জিলাপি বিক্রি শুরু করেছি। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকে দোকান।

তিনি আরো বলেন, হাটবারে বিক্রি ভালো হয়। পৌরসভায় সপ্তাহে দুইদিন হাট থাকে। ঐ দুইদিন বিক্রি ভালো হয়। হাটের সময় দুইশ’ কেজিরও অধিক জিলাপি বিক্রি হয়। ২০ থেকে ২৪ হাজার টাকার বিক্রি হয়। এখান থেকে তিন থেকে চার হাজার টাকার মতো লাভ হয়। মৌসুমি এই জিলাপির দোকান চলবে আরো চার মাসের মতো।

পৌরসভার মহাজনপট্টির আরেকটি জিলাপি দোকানের কারিগর মোরশেদ বলেন, ২৫ বছর ধরে জিলাপি তৈরির সঙ্গে জড়িত। শীতের মৌসুমে এর কদর বেড়ে যায়। সেজন্য প্রতি বছর এ সময় জিলাপি বানানোর কাজ করি। অন্য সময় অটোরিকশা চালাই। জিলাপি বানিয়ে দৈনিক ৮শ’ টাকা পাই। সংসারে দুই মেয়ে আর স্ত্রী রয়েছে। জিলাপি তৈরির আয়ে বর্তমানে সংসার চলছে।

জিলাপি ক্রেতা মো. রফিকুল ইসলাম নামে এক কলেজ প্রভাষক বলেন, শীতের সময় জিলাপি খেতে অন্য রকম মজা লাগে। নিজে খাচ্ছি, আর বাড়ি জন্যও নিয়েছি। বাচ্চাদেরও জিলাপি অনেক পছন্দের। আকলিমা ও সাহিদা বেগম নামে আরো দুই ক্রেতা বলেন, বাজারে কাজে এসেছি। এখান দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি জিলাপি বিক্রি হচ্ছে। এজন্য বাসার জন্য দুইজন এক কেজি করে কিনেছি।

সূত্র: ডেইলি-বাংলাদেশ।

Advertisement