Homeঅন্যান্যজ’বাইয়ের সময় কোরবানিদাতার নাম না নিলে কী কোরবানি হবে?

জ’বাইয়ের সময় কোরবানিদাতার নাম না নিলে কী কোরবানি হবে?

আজ দেশে মুসলিমদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। নামাজ শেষে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কোরবানি করবেন সামর্থ্যবানরা। যদিও বিশ্বের অনেক দেশে গতকাল উদযাপিত হয়েছে ঈদুল আজহা। কোরবানি ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ ইবাদত। যারা সামর্থ্যবান তাদের জন্য কোরবানি ওয়াজিব। আল্লাহর রাসুল (সা.) প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানকে কোরবানি দিতে উৎসাহ দিয়েছেন।

অনেক জায়গায় কোরবানির পশু জবাইয়ের সময় কোরবানি দাতার নাম পড়ে শোনানো হয়। তবে পশু জ’বাইয়ের সময় কুরবানিদাতাদের নাম উল্লেখ করা জরুরি নয়। কেননা কাদের পক্ষ থেকে পশু কুরবানি করা হচ্ছে, সেটি তো পশু ক্রয়ের সময়ই নির্ধারিত হয়ে গেছে।

কিছু হাদিসে দোয়া পড়ে কোরবানি করার আগে কার পক্ষ থেকে কোরবানি করা হচ্ছে তার নাম বলে তারপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে জ’বাই করার সমর্থন পাওয়া যায়। যেমন হাদিসে এসেছে- হজরত জাবের বিন আবদুল্লাহ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) যখন কোরবানির দিন দুটি শিংওয়ালা মোটাতাজা বকরি জ’বাই করতেন, কোরবানির পশু শোয়ানোর পর তিনি পড়তেন ‘ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লালিল্লাজি ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি হানিফা, ওয়াআনা মিনাল মুসলিমিন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালাকা ওয়া আন মুহাম্মাদিন (মুহাম্মদের পক্ষ থেকে) ওয়া উম্মাতিহি (তার উম্মতের পক্ষ থেকে) বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার।’ তারপর কোরবানি করতেন। (আবু দাউদ : ২৭৯৫)

শরিকানা পশুতেও জ’বাইয়ের সময় সবার নাম বলা যায়। যেহেতু যিনি জবাই করছেন তিনি সাতজন ব্যক্তির প্রতিনিধি হয়ে জবাই করছেন। তাই কোরবানি করার সময় তাদের পক্ষ থেকে তিনি কোরবানি করছেন, এ কথাটি পরিষ্কার করার জন্য নামগুলো বলা যায়। এতে দোষের কিছু নেই।

উল্লিখিত হাদিস থেকে জানা যায়, দোয়া পড়ে জ’বাই করলে আগে নাম উল্লেখ করায় কোনো সমস্যা নেই। তবে মুখে সব শরিকের নাম বলা জরুরি বিষয় নয়; বরং জ’বাইকারী শুধু পশুটির মালিকদের নামে কোরবানি করছেন- এতটুকু মনের মধ্যে রেখে জ’বাই করলেও কোরবানি বিশুদ্ধ হয়ে যাবে। তাই নাম বলা নিয়ে জ’বাইকারীকে পেরেশানি করার প্রয়োজন নেই। (ফাতাওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ : ১৫/৫১৭; বাদায়েউস সানায়ে : ৫/৭১)

Advertisement