Homeসব খবরআন্তর্জাতিকচাঁদ ছোঁয়ার দ্বারপ্রান্তে ভারত, চন্দ্রযান-৩ ঘিরে স্নায়ুচাপ

চাঁদ ছোঁয়ার দ্বারপ্রান্তে ভারত, চন্দ্রযান-৩ ঘিরে স্নায়ুচাপ

চন্দ্রযান-৩ অবতরণের আগে শেষ ২০ মিনিট আতঙ্কের। এই আতঙ্কের সময়টুকু পার করতে পারলেই চাঁদের বুকে সফল ভাবে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৩। চাঁদের বুকে লেখা থাকবে ভারতের নাম। মহকাশে রচিত হবে অনন্য ইতিহাস। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ বুধবার (২৩ অগাস্ট) চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৩।

তবে অবতরণের শেষ ২০ মিনিট কিন্তু বেশ আতঙ্কের। সেই আতঙ্কের কথা ভাবলেই ঢোক গিলতে হবে আপনাকেও। গতি কমিয়ে চাঁদে সফট ল্যান্ডিংয়ে আদৌ সফল হবে কি না ল্যান্ডার ‘বিক্রম’, তা পরিষ্কার হবে আশঙ্কার ২০ মিনিট কাটলেই।

গত ১৪ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল তৃতীয় চন্দ্রযান তথা চন্দ্রযান-৩। এখনও পর্যন্ত যাত্রাপথের প্রতিটি পর্যায়ই সফল ভাবে পেরিয়েছে সেটি। ৫ অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছয় চন্দ্রযান-৩। ১৯ অগাস্ট প্রোপালশন মডিউল থেকে আলাদা হয় ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। রোভার ‘প্রজ্ঞান’-কে সঙ্গে নিয়ে আপাতত অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে মহাকাশযানটি। তবে চাঁদে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর সফল অবতরণ বা হালকা পালকের মতো অবতরণ আদৌ সম্ভব হবে কি না তা স্পষ্ট হবে ‘আতঙ্কের ২০ মিনিট’ পেরোলে। অবতরণের এই শেষ ২০ মিনিট নিয়ে আশঙ্কার অন্ত নেই ইসরোর।

উল্লেখ্য, চন্দ্রযান-২-এ অরবিটারটি তৃতীয় চন্দ্রযানের ল্যান্ডার মডিউল ‘বিক্রম’-কে মহাশূন্যে সোমবার অভ্যর্থনা জানিয়েছে। মহকাশ থেকে বার্তা এসেছে ‘স্বাগত বন্ধু’। সানন্দে ইসরো এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছে চন্দ্রপৃষ্ঠের কাছে, চাঁদমুখী প্রাক্তন ও বর্তমান সওয়ারির দ্বিপাক্ষিক সংযোগ সুসম্পন্ন হওয়ার খবর।

আশ্বস্ত করে এও জানানো হয়েছে, চাঁদের পৃষ্ঠের অবতরণের আগে এখনও পর্যন্ত ল্যান্ডারের স্বাস্থ্য ‘জবরদস্ত’ আছে। কোনও অস্বাভাবিকতা নজরে আসেনি। তাড়াহুড়ো করছে না ইসরোর এই মহাকাশযান। বরং ধৈর্য ধরে, খুঁটিয়ে যাচাই করছে চাঁদের জমি। অবতরণের উপযুক্ত জায়গা, যা বিপদ-বর্জিত ও নিরাপদ সেই রকম জমি খুঁজছে ল্যান্ডার। উঁচুনিচু, খানাখন্দে ভরা, বোল্ডারে পরিপূর্ণ জমি অবতরণের একেবারেই যোগ্য নয়। তাই জমি বাছাইয়ে আগেভাগেই ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছে ল্যান্ডারটি।

চার বছর আগে ২০১৯ সালের ব‌্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারের চাঁদ-সওয়ারিকে যোগ‌্য করে তুলতে চেষ্টার কোনও খামতি রাখেননি ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সিলমোহর দিয়েছেন বহু বিজ্ঞানী। তবে আগের বার চাঁদের রুক্ষ মাটিতে নাক বরাবর ধাক্কা খেয়ে ‘বিক্রম’ ভেঙে পড়ে। তারপর যাঁর কান্নায় ভেঙে পড়ার দৃশ‌্য আজও কোনও ভারতীয় ভুলতে পারেননি, তিনি ইসরোর প্রাক্তন প্রধান, কে সিভান। সিভানও এবার আত্মবিশ্বাসী, চন্দ্রযান-৩ মিশন সফল হবেই, আর কোনও ‘ভুল’ হবেই না।

সূত্র: এই সময়।

Advertisement