Homeসব খবরজেলার খবরচাঁদপুরে আখের বাম্পার ফলন!

চাঁদপুরে আখের বাম্পার ফলন!

চাঁদপুরের আখের জাতের সুনাম দেশজুড়ে। তবে বর্তমানে ‘চাঁদপুর আখ বা গেন্ডারি’র পাশাপাশি রং বিলাস আখের আবাদও বেড়েছে। একই জমিতে মিশ্র আখের আবাদ করেছেন অনেক চাষিরা। ফলন ভালো হলেও অনেক জমিতে ছত্রাক জাতীয় রোগে আক্রান্ত হয়েছে আখ। চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় আখ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২০ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৬৪০ হেক্টর। এর মধ্যে বেশি আবাদ হয়েছে ফরিদগঞ্জ উপজেলায়।

আখচাষি শিপন মিয়া বলেন, চলতি মৌসুমে ২২ শতাংশ জমিতে ‘চাঁদপুর গেন্ডারি’র পাশাপাশি রং বিলাস আবাদ করেছি। উভয় জাতের আখই ভালো ফলন হয়েছে। রং বিলাস আখ সাইজে অনেক লম্বা হয়। তবে চিবিয়ে খাওয়ার জন্য ‘চাঁদপুর গেন্ডারি’ স্থানীয় লোকজনের কাছে জনপ্রিয়। ফরিদগঞ্জ উপজেলার আখচাষি কলন্দর খান বলেন, রং বিলাস জাতের আখ আবাদ করেছি। মিশ্রসহ আখের আবাদের পরিমান ১শ’ ২০ শতাংশ। রং বিলাস খুবই মিষ্টি ও রসালো। ফলনও খুব ভালো হয়েছে। আশা করছি বাজারে ভালো দাম পাবো।

আখের ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর আখ ছত্রাক জাতীয় রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে বেড়িবাঁধের বাইরের জমিগুলোতে এই রোগ বেশি। পশ্চিম সেকদি গ্রামের ১ জমির আখ তিনি ২২ হাজার টাকায় কিনেছি। রং বিলাস ও ‘চাঁদপুর গেন্ডারি’ মিশ্রিত আবাদে জমিটি। এসব আখ রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে।

চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, এ বছর চাঁদপুর জেলায় চিবিয়ে খাওয়া আখের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২০ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৬৪০ হেক্টর। জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকদের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। জলবাদ্ধতা ও ছত্রাক জাতীয় রোগ থেকে রক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement