Homeসব খবরজেলার খবরচরাঞ্চলে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে চীনা বাদাম চাষ

চরাঞ্চলে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে চীনা বাদাম চাষ

চরের বালু মাটিতে ধানসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ হয়না। তাই চরের বাসিন্দারা বিভিন্ন সবজির চাষ করে থাকেন। বর্তমানে তারা ব্যাপকভাবে চীনা বাদামের চাষ করছেন। জামালপুরের নদীর চরে সবুজের সমারহ। চরের জমিতে কৃষকরা তরমুজ, শিম, বেগুন, মরিচ, গোল আলু, ভুট্টা, সরিষা, তিলের পাশাপাশি চীনা বাদাম চাষ করছেন।

জামালপুরের যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও দশানী নদীর চরের চাষিরা চীনা বাদাম চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এর মধ্যে জামালপুরের সরিষাবাড়ী, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার যমুনার দুই পাশে জেগে ওঠা চরে চীনা বাদমের বেশি চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড সরকারের যৌথ অর্থায়নের মাধ্যেমে প্রকল্পের আওতায় এইসব চরের বাসিন্দারা বিভিন্ন সবজির পাশাপাশি এখন চীনা বাদামও চাষ করছেন। এখানকার উৎপাদিত বাদাম রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সরবরাহ করা হয়। জেলার চরে উৎপাদিত বাদামের আকার বেশ বড় হয় এবং ফলন অনেক বেশি হয়।

জামালপুরে উৎপাদিত বাদাম দেশের প্রায় ২০ ভাগ বাদামের চাহিদার পূরণ করে থাকে। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় বাদামের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। ইসলামপুর উপজেলার সাপধরী এলাকার বাদাম চাষি ইব্রাহিম বলেন, আমি এবছরই প্রথম চিনা বাদামের চাষ করছি। আশা কিরছি বাদামের ভালো ফলন পাবো। এবছর আবহাওয়া ভালো থাকায় গাছের কোনো ক্ষতি হয়নি। আর এই গাছের রোগবালাই নেই বললেও চলে।

বাদাম চাষি সফিকুল ইসলাম বলেন, চরের বালু মাটিতে ধানেসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ করা যায় না। তাই আমরা তরমুজ, শিম, বেগুন, মরিচ, গোল আলু, ভুট্টা, সরিষা, তিলের চাষ করি। বর্তমানে চিনা বাদামের চাষ করছি। আর ১৫-২০ দিন পর বাদাম তোলা হবে। আশা করছি ভালো ফলন পাবো এবং লাভবান হতে পারবো। আবহাওয়া ভালো থাকায় গাছের কোনো ক্ষতি বা রোগবালাই হয়নি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানা বলেন, চীনা বাদাম একটি স্বল্পমেয়াদি অর্থকরী ফসল। এটি একটি উৎকৃষ্ট ভোজ্য তেলবীজ। চলতি বছর জামালপুরে ৬৮০ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ করা হয়েছে। বাদামের কয়েকটি জাতের মধ্যে জামালপুরে বাসন্তী বাদামের চাষ বেশি হয়। চাষিরা বছরে দুইবার বাদাম চাষ করতে পারেন। আমরা চাষিদের বাদাম চাষে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগীতা করবো। আশা করছি কৃষকরা বাদামের ভালো ফলন পাবেন।

Advertisement