Homeঅন্যান্যক্ষুদে বিজ্ঞানী মামুনের রোবট আবিষ্কার, কথাও বলতে পারে বাংলায়

ক্ষুদে বিজ্ঞানী মামুনের রোবট আবিষ্কার, কথাও বলতে পারে বাংলায়

নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলায় রোবট আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এক কিশোর। সাব্বির মাহমুদ মামুন নামের একাদশ শ্রেণীর এক ক্ষুদে বিজ্ঞানী তৈরী করেছে রোবটটি। নাম দিয়েছে পদ্মাসেতু। মামুন কবিরহাট উপজেলার কালামুন্সিরহাট বাজার ২ নং সুন্দরপুর ইউনিয়নের মালি পাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মোহাম্মদ মসজিদ এবং মারজাহান দম্পত্তির বড় ছেলে।

জানা যায়, মামুনের তৈরী রোবটটি অকপটে প্রধানমন্ত্রীর নাম ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার আবিষ্কার সাব্বির মাহমুদ মামুন এর নাম খুব সাবলীলভাবে বলে দিতে পারে। এছাড়া এই রোবট বলতে পারে- পদ্মা সতু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেতু এবং এর দৈর্ঘ ১০ দশমিক ১৫০ কিলোমিটার। এছাড়া বাংলা মাধ্যমে কথা বলতে পারা এই রোবটটি দিয়ে করানো যাবে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজও। ২০২০ সালে কবিরহাট সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে বর্তমানে মামুন কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজে ব্যবসায়ী শিক্ষা বিভাগে অধ্যয়নত। অনেক আগ্রহ ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন বিজ্ঞান বিষয়ক মেলায় অংশ নিয়ে অনেক পুরস্কার জিতেছে সে।

যার উদাহরণ ৪২ ও ৪৩ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় অংশ নিয়ে সে তার তৈরি স্মার্ট সড়ক, ডাস্টবিন ও জানালা উপস্থাপন করে পরপর দু’বার উপজেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করে। চলতি বছরের শুরুর দিকে হঠাৎ তার মাথায় আসে রোবট বানানোর চিন্তা ।সেই চিন্তা থেকে মাত্র ছয় মাসের চেষ্টায় তৈরি করে ফেলেন এই রোবটটি। যার নাম দিয়েছেন পদ্মা সতু।

কবিরাহাট উপজেলা ধানসিড়ি ৩ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনাপুর রহমান মুনাপ জানান, বর্তমানে এই প্রত্যন্ত গ্রামে অধিকাংশ কিশোর-তরুণ যখন নেশা আর অপরাধে জড়াচ্ছে তখন মামুনের এই কীর্তি দেখে আমরা গ্রামবাসী আনন্দিত। মামুনের দাদা মোবারক মিয়া (৮০) জানান, যখন আমি ঘরে ঢুকতাম তখন দেখতাম মামুন কি যেন তৈরী করতেছে। খরচের টাকার কথা জানতে চাইলে মামুন জানায়- মায়ের দেওয়া খরচের টাকা এবং নিজের টিউশনি থেকে আয় করা টাকায় অনলাইন থেকে যন্ত্রপানি কিনে এসব বানায়।

মামুনের দাদা আরও জানায়, একদিন আমি ঘরে ঢুকে দেখি মানুষের মত দেখতে কি যেন তৈরী করে ফেলেছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম এটা কি মামুন? সে জিনিস নিজেই আমার সাথে কথা বলতে শুরু করে। আমার সাথে হাত মিলাই। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে মামুনের দাদা মোবারক মিয়া জানান, আমার নাতির ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে সেই ড্রোন যু’ন্ধ বিমান তৈরী করতে চাই,উনি যেন আমার নাতির ইচ্ছা পূরণে এগিয়ে আসে।

মামুনের সহপাঠি রনি জানাই, তার আবিষ্কৃত রোবটের পদ্মা সতু দেখতে প্রতিদিন বাড়িতে ভীড় জমায় স্থানীয়রা। মামুনের রোবট রীতিমত এলাকায় হৈচৈ ফেলে দিয়েছে। প্রতন্ত অঞ্চলে মামুনের এমন রোবট তৈরি করতে পারায় খুশি তার স্থানীয় ও স্বজনরা। নোয়াখালী রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এনআরডিএস) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আবদুল আউয়াল বলেন, প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা মামুনের আবিষ্কারের নেশাকে অনেক দূরে নিয়ে যাবে।

Advertisement