Homeসব খবরজেলার খবরক্যাপসিকামের বাম্পার ফলন, রিপনের মাসিক আয় ৫০ হাজার!

ক্যাপসিকামের বাম্পার ফলন, রিপনের মাসিক আয় ৫০ হাজার!

অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি ক্যাপসিকাম চাষ করে তিনি মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারছেন। তার সফলতা দেখে এখন অনেক কৃষক ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রিপন মিয়া ক্যাপসিকাম চাষে সফল হয়েছেন। প্রথমে পরিক্ষামূলকভাবে ১ বিঘা জমিতে চাষ করে ভালো ফলন পাওয়ায় এখন বাণিজ্যিকভাবে ৪ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করছেন।

মোঃ রিপন মিয়া কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের বাসিন্দা। জীবিকার তাগিদে অনেক বছর প্রবাসে ছিলেন। দেশে ফিরে আত্মকর্মসংস্থান ও অর্থ উপার্জনের জন্য কৃষি কাজে যোগদান করেন। অনলাইনের মাধ্যমে ক্যাপসিকাম চাষ ও লাভবান হওয়া দেখে প্রথমে ১ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেন। এছাড়াও তিনি শীতকালীন বিভিন্ন সবজিও চাষ করে থাকেন। ভালো ফলন পাওয়ায় পরের বছর ২ বিঘা জমিতে চাষ শুরু করে বর্তমানে ৪ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করছেন।

রিপন মিয়া বলেন, ১ বিঘা জমিতে ৫০ গ্রাম ক্যাপসিকাম বীজের প্রয়োজন হয়। বীজের দাম ১৩ হাজার টাকা। কোকোপিট দিয়ে চারা উৎপাদন করতে হয় বলে খরচ একটু বেশি। এছাড়াও এবছর সার ও কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় ক্যাপসিকাম চাষে বিঘাপ্রতি ১ লাখ টাকা খরচ পড়েছে। স্থানীয় বাজারে চাহিদা না থাকায় ঢাকায় ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। এখনও জমিতে প্রচুর ক্যাপসিকাম আছে। আশা করছি অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর বেশি লাভ করতে পারবো। ইতোমধ্যে ৪ বিঘা জমি থেকে ৩ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছি।

ক্যাপসিকাম চাষ দেখতে আসা কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, আমি গত ২ বছর যাবত রিপনকে ক্যাপসিকাম চাষ করতে দেখছি। সে ক্যাপসিকাম চাষে করে লাভবান হতে পেরেছে। আমিও আগামীতে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করবো।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, উপজেলার কৃষক রিপন মিয়া ৪ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করছেন। আমরা তাকে বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগীতা করছি। তিনি গত ২ বছর যাবত ক্যাপসিকাম চাষ করছেন।

Advertisement