Homeসব খবরআন্তর্জাতিককেউ বেঁচে নেই ১০ বছরের ফিলিস্তিনি শিশুর, প্রশ্ন ‘আমি...

কেউ বেঁচে নেই ১০ বছরের ফিলিস্তিনি শিশুর, প্রশ্ন ‘আমি এখন কী করব?’

ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। মৃতের সংখ্যা ঠেকেছে প্রায় দুইশ’র কাছাকাছি। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা কম নয়। আহত হয়েছেন হাজারো মানুষ।

এতো গেল মৃত্যু এবং আহতের চিত্র। সবচেয়ে মর্মান্তিক যে বিষয়টি তা হলো ইসরাইলি হামলায় অনেক শিশু মা-বাবাকে হারিয়ে নিঃস্ব। এমনও আছে কোন স্বজনই বেঁচে নেই তাদের। শুধু ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছেন শিশুগুলো। তবে তাদের এই বেঁচে যাওয়া ভাগ্য না দুর্ভাগ্য তা বলা মুশকিল। ইহুদিদের বর্বরতায় ফিলিস্তিনি শিশুদের এমন করুণ অবস্থা বর্ণনাতীত।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সব হারানো এমনই এক শিশুর করুণ আর্তনাত। শিশুটির করুণ আর্তনাত যে কাউকে কাঁদাতে বাধ্য। পাষাণ হৃদয়ও শীতল হয়ে যাবে গাজার সেই শিশুর শুনে।

ভিডিওটি মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ১০ বছরের মেয়েটির দুচোখ কান্নার পানিতে ভরে আছে। ক্যাপশনে লিখেছে শিশুটির আর্তনাত – আমি জানি না এখন আমি কি করব।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, দশ বছরের ওই শিশুর নাম নাদাইন আবদেল তাইফ। ইসরাইলি হামলায় বিধ্বস্ত প্রতিবেশী বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে শিশুটি জানে না জীবনের বাকিটা সময় কীভাবে কাটাবে! ওই হামলায় প্রতিবেশী ৮ শিশু ও ২ নারী নিহত হয়েছে। শিশুটি এখন স্বজন হারিয়ে একেবারেই একা।

দখলদার বাহিনীর গোলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া প্রতিবেশীর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তাইফ নামের মেয়েটি বলছে, ‘আমি এখন কী করব? কী করে সামলাব? আমার তো মোটে ১০ বছর বয়স। এসব আর সহ্য করতে পারছি না! আমি সবসময়ই অসুস্থ থাকি, কিছুই করতে পারি না। আমি আমার দেশবাসীকে সাহায্য করতে ডাক্তার হতে বা কিছু একটা করতে চাই। কিন্তু কী করব, আমি তো একজন শিশু! আমার ভয় করছে। আমার নিজের লোকজনের জন্য আমি যে কোনো কিছু করব! কিন্তু কী করতে হবে, সেটা জানি না।’

ভিডিওতে ইসরায়েলি হামলার কারণ জানতে চেয়ে চোখের জলে ভাসিয়েছে তাইফ বলেছে, আমরা কী করেছি? এটাই কি প্রাপ্য আমাদের?

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন:

Advertisement