২০১৭ সালে মাত্র ৩টি রিং স্লাব দিয়ে সারের উৎপাদন শুরু করলেও বর্তমানে বিশাল টিনের সেড ও ছাপড়ার নিচে তৈরিকৃত ২৪টি হাউজে চলছে সারের উৎপাদন৷ গুণমানে উন্নত এই কেঁচোসারে যেমন কৃষকের জমির ফলন ভালো হয়, তেমনি দামেও বেশ সাশ্রয়ী৷ পরিবেশবান্ধব কেঁচোসার উৎপাদন ও বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন ফরিদপুর জেলার পৌর এলাকার শোভাররামপুর মহল্লার বাসিন্দা তানিয়া পারভীন৷
এদিকে কম্পোস্ট ব্যবহারকারী চাষিরা বলছেন, কেঁচো সার ব্যবহারের ফলে উৎপাদন ভাল হচ্ছে। প্রচলিত সারের তুলনায় কেঁচো সার বেশ সাশ্রয়ী ও গুণেমানে সেরা ফলে স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে সারাদেশেই চাহিদা রয়েছে কেঁচো সারের বলে জানিয়েছেন তানিয়া। পাশাপাশি এই কেঁচো সারে উৎপাদিত শাক সবজির পুষ্টিমান ভাল থাকায় স্থানীয় বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে।
তানিয়া জানান, ২০১৭ সালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় স্বল্প পরিসরে শুরু করলেও বর্তমানে বেশ সফলতা এসেছে। বর্তমানে প্রতি মাসে প্রায় দেড় টন কেঁচো সার উৎপাদন হয়। পাশাপাশি প্রতি কেজি কেঁচো সার পাইকারী সাড়ে ১২ টাকা দরে বিক্রি করলেও খুচরায় প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে বিক্রি হয় বলেও তিনি জানান। স্থানীয় বাজারসহ সারাদেশে যে পরিমাণ চাহিদা সে পরিমাণ যোগান দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এই সার বিক্রি করে আমার প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। সারের চাহিদা থাকায় দিন দিন উৎপাদন বাড়িয়েছি। এখন এলাকার অনেকেই আমার কাছ থেকে সার উৎপাদনের কৌশল রপ্ত করছেন। তারাও আগামীতে ভার্মি কম্পোস্ট সারা উৎপাদন করবেন। তবে এজন্য সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন বলে তিনি দাবি করেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আবুল বাসার মিয়া বলেন, ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার অত্যন্ত নিরাপদ ও সাশ্রয়ী একটি জৈব সার। চাষিদের এই সার ব্যবহার করার জন্য তিনি আহ্বান জানান। এছাড়াও নাসরিনের উৎপাদিত কেঁচো সার অনেক ভাল।