Homeসব খবরজেলার খবরকুল চাষে যুবকদের আগ্রহ বাড়ছে!

কুল চাষে যুবকদের আগ্রহ বাড়ছে!

বাণিজ্যিকভাবে কুলের চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যায় বলে যুবকরা কুল চাষে ঝুঁকছেন। এখানকার জমি ও আবহাওয়া কুল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। ফলে কম খরচ ও কম পরিশ্রমে কুলের চাষ করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। দিন দিন এই এলাকায় কুল চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাতক্ষীরায় বাণিজ্যিকভাবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কুল চাষ।

এ অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে কুলের চাষ দিন দিন বেড়েই চলেছে। মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় জেলায় কুলের চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এখানকার উৎপাদিত কুল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। স্থানীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে কুল বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করছে।

কেঁড়াগাছি গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা রানা হোসেন বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি ৬ বিঘা জমিতে ভারতসুন্দরী ও বলসুন্দরী জাতের কুল চাষ করছি । কুলবাগান করতে প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি সকল খরচ বাদ দিয়ে বিঘায় ৭০-৮০ হাজার টাকা লাভ হবে। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ভালো হয়েছে।

গাড়াখালি গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম বলেন, কুল চাষে খরচ তুলনামূলক অনেক কম এবং লাভজনক ব্যবসা। তাই উচ্চ ফলনশীল জাতের কুলের চারা সংগ্রহ করে চাষ করছি। ভালো জাত নির্বাচন করে কুল চাষ করতে হবে। এ চাষে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে প্রতি বছর।

হাবিবুর রহমান বলেন, আগের বছরের তুলনায় এ বছর কুলের চাষও বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন কুলের ফলন বৃদ্ধি পাওয়ায় পাশাপাশি ফলন বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে দাম ভালো পেলে কৃষকরা লাভবান হবেন ও কুল চাষে আরও আগ্রহী হবেন। এবার বছর পাইকারি হারে ৭০-৮০ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

কুল চাষি পাঞ্জাব আলী জানান, বিগত কয়েক বছর ধরেই কুল চাষ করে আসছেন তিনি। চলতি মৌসুমেও ৩ বিঘা পরিমাণ জমিতে নারকেল ও আপেল কুল চাষ করেছেন। জমি নিজের হওয়াতে উৎপাদন খরচ তুলনামূলক অনেক কম। কুল গাছে ভিটামিন স্প্রে, সার ও পোকা দমন ঔষধ ব্যবহারে তিন বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে ৫৫ হাজার টাকা। তিনি আশা করছেন এবার বেশ লাভবান হবেন। ইতিমধ্যে কুল বিক্রি শুরু করেছেন।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার কুল চাষিরা ভালো ফলন পেয়েছেন। আমরা কুল চাষিদের সব ধরণের সহযোগিতা করছি।

Advertisement