বিশ্বকাপ ফুটবলের উত্তাপ-উত্তেজনা বাড়াতে ফরিদপুরের একটি মাঠে তৈরি করা হচ্ছে কাতারের আদলে ৮টি স্টেডিয়াম। কাতার প্রবাসী এক যুবক এ উদ্যোগ নিয়েছেন। জানা যায়, ফরিদপুর পৌরসদরের ভাজনডাঙ্গা হাসপাতাল সংলগ্ন একটি মাঠে তৈরি করা হচ্ছে এ স্টেডিয়ামগুলো। আর এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন ওই এলাকার বাসিন্দা ও কাতার প্রবাসী মো. মাসুদুর রহমান। তিনি আর্জেন্টিনা ও মেসির ভক্ত। কাতারে অনুষ্ঠিতব্য ফুটবল বিশ্বকাপের মাঠের আদলেই তৈরি করা হচ্ছে ওই স্টেডিয়ামগুলো।
স্থানীয়রা জানান, কাতারে থাকা অবস্থায় স্টেডিয়ামগুলোতে গিয়ে খেলা দেখে আর মেসির প্রতি ভালোবাসা থেকেই মাসুদুর রহমান এমন ভিন্নধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। নিজস্ব অর্থায়নে প্রাথমিকভাবে এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লক্ষ টাকা। স্থানীয় তরুণ-যুবকদের সহয়তায় চলছে এমন ব্যতিক্রমী আয়োজনের প্রস্তুতি। আয়োজনের মধ্যে থাকছে, বাংলাদেশের পতাকাসহ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা ৩২টি দলের পতাকা। বড় পর্দায় প্রতিটি খেলা দেখানোর ব্যবস্থা। এছাড়াও থাকছে দূর-দূরান্ত থেকে খেলা দেখতে আগতদের জন্য ফ্রি থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা এস এম রুবেল বলেন, যদিও এখনও কাজ চলমান। এলাকায় ইতিমধ্যে বেশ সাড়া পড়েছে। তবে সত্যিই খুব বিস্ময় লাগছে। এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন মনে হচ্ছে দেশের মধ্যে সেরা। মাঠটি কাতারে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপ যে সব স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সেই আদলে ৮টি স্টেডিয়াম তৈরি করা হচ্ছে। দূরদূরান্ত থেকে এ স্টেডিয়াম দেখতে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ।
এব্যাপারে মাসুদুর রহমান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে কাতারে থাকি। আর এই সুবাধে বিভিন্ন সময়ে কাতারের ফুটবল স্টেডিয়ামগুলো স্বচক্ষে দেখার সুযোগ হয়েছে। আমি আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। আমার প্রিয় খেলোয়াড় মেসি। আর্জেন্টিনা ও মেসির প্রতি ভালোবাসা থেকে এবং ভিন্নধর্মী কিছু করার চিন্তা থেকেই আমার এমন আয়োজন। এখানে ৮টি মাঠ কাতারের স্টেডিয়ামের আদলে তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও আগতদের ফ্রি থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাসহ আরও বিভিন্নরকম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। কাজ চলমান। কাজ শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।