Homeসব খবরজেলার খবরকচুর ব্যাপক ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

কচুর ব্যাপক ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে লতি কচুর চাষ হচ্ছে। লতিকচু ও কন্দাল জাতের লতিকচু একই হলেও কন্দাল জাতে ফলন বেশি হয়। তাই কৃষকরা এই জাতের কচু চাষে আগ্রহী হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। কৃষি নির্ভর মেহেরপুর জেলার কচুর লতির দেশ জুড়ে সুনাম রয়েছে। এখানকার প্রান্তিক চাষিরা কচুর লতি চাষে নিজেদের ভাগ্য বদল করেছেন। এই জেলায় এবারই প্রথম কন্দাল জাতের লতি কচুর বাণিজ্যিক চাষাবাদে সফলতা পেয়েছেন চাষিরা।

দিঘিরপাড়া গ্রামের বাবু মিয়া বলেন, আমি ৩ বিঘা জমিতে কচুর লতি চাষ করেছি। কচু চাষ করেই ছেলে মেয়ের পড়াশোনার খরচ সহ সংসার চালাই। জমি স্যাতস্যাতে হওয়ায় এখানে ধান চাষ করলে ফলন হয় না। তাই কচু চাষ করি। এবছর জমিতে কচুর ভালো ফলন হয়েছে। এছাড়াও ৫ হাজার টাকার চারা বিক্রি করেছি। ইতোমধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কচু বিক্রি করেছি।

কচুর লতি চাষি গোলাম হোসেন জানান, কচু চাষ করলে এর থেকে বের হওয়া লতি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করা যায়। বাজারে কচু, কচুর লতি ও এর ফুলের চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাওয়া যায়। তাই প্রতি বছর কচু চাষির সংখ্যা বাড়ছে।

উপজেলার কৃষি অফিসার নাসরিন পারভীন জানান, বাংলাদেশে দেশে বেশ কয়েক প্রকার কচুর লতির জাত রয়েছে। এর মধ্যে পানি কচু -১ এবং বারি পানি কচু -২ উল্লেখযোগ্য। স্বাদের কারণে বাজারে চাহিদাও বেশ। এতে করে একদিকে যেমন পুষ্টিচাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে তেমনি অন্যদিকে চাষিরাও লাভবান হচ্ছেন মেহেরপুরের লতিকচু ভবিষ্যৎতে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। চাষিরা বসতবাড়ির আশেপাশে স্যাতস্যাতে জমিতে সহজেই লতিকচু চাষ করে থাকে।

Advertisement