Homeসব খবরজেলার খবরকচুরমুখী চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা!

কচুরমুখী চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা!

বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারে কচুরমুখীর ভালো দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরা। কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই পাহাড়ে কচুরমুখী চাষ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করছেন কৃষকরা। কচুরমুখী চাষে ভালো ফলন পাওয়ায় আর্থিক স্বচ্ছলতার স্বপ্নে বিভোর তারা।

লালমাই পাহাড়ের উঁচু নিচু অনেক জমিতে কচুরমুখীর চাষ হয়েছে। চাষিরা নিজে ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে জমি থেকে কচুরমুখী তুলছেন। মাঠ থেকে সংগ্রহ করে পরিষ্কার করে বিকালে তা চলে যাবে হাটে। লালমাই পাহাড়ে কচুমূখী চাষ করেছেন কৃষক আবুল কালাম আজাদ তিনি বলেন, আমি গত দশ বছর যাবত লালমাই পাহাড়ে কচুরমুখীসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষাবাদ করে আসছি। কৃষি কাজ করেই আমার সংসার চলে।

তিনি আরও বলেন, এবছর আমি ২৪০ শতক জমিতে কচুরমুখীর চাষ করেছি। চাষ করতে প্রায় ৩ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর কচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৮ টন কচুরমুখী জমি থেকে উঠিয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে ৮ লাখ টাকার কচু বিক্রি করতে পারবো। যা থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা লাভ থাকবে।

বিজয়পুর এলাকার বাসিন্দা আবদুস সাত্তার বলেন, লালমাই পাহাড়ের কচুরমুখী স্বাদে ও গুণে অন্যন্য। এখানকার কচুরমুখীর চাহিদা শুধু স্থানীয় বাজারে নয়, আশেপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায়ও এর ব্যাপক সুনাম রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত কচু দিয়ে ইলিশ মাছের তরকারি খুব স্বাদের হয়। এখানকার কচুর স্থানীয় কুমিল্লার কোটবাড়ি, পাহাড়পুর, বিজয়পুর, নিমসার হাটে চলে যায়। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় এখানকার কচু সরবরাহ হয়। পাইকারি ৪০-৫০ টাকা আর খুচরা বাজারে ৬০-৮০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হয়।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুল বাশার চৌধুরী বলেন, এবছর লালমাই পাহাড়ে ৫০ হেক্টর জমিতে কচুরমুখীর চাষ হয়েছে। বছরের এই সময় চাষিরা জমি থেকে কচুর তোলা, তা পরিষ্কার করা ও বাজারজাত করতে ব্যস্ত থাকে। কৃষকরা নিজেরা লাভের পাশাপাশি সৃষ্টি করেন অনেক কর্মসংস্থান। এতে শতাধিক পরিবারের আয়ের উৎস তৈরী হয়।

Advertisement