Homeসব খবরজেলার খবরএবার ড্রাগন চাষে সফল মোস্তফা, মাসে আয় ৫০ হাজার...

এবার ড্রাগন চাষে সফল মোস্তফা, মাসে আয় ৫০ হাজার টাকা!

২০১২ সালে ঢাকা থেকে দেশি জাতের বীজ সংগ্রহ করে শখের বসে ড্রাগন চাষ শুরু করেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের কাংকুনী পাড়া গ্রামের চাষি মোস্তফা জামান। ফলন ভালো হওয়ায় ২০১৭ সালে বাড়ির পাশের ১ একর জমিতে ৪০০ গাছ নিয়ে বানিজ্যিকভাবে শুরু করে ড্রাগন চাষ। লাল, সাদা, হলুদ এবং গোলাপি রঙের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল বাগানে থেকে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি দরে। এতে খরচ বাদে প্রতি মাসে আয় হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে মোস্তফার বাগানে ১০ প্রজাতির ড্রাগনের গাছ রয়েছে। এসব প্রজাতির মধ্যে ৮ প্রজাতির গাছে ফল এসেছে। তার এই সফলতা দেখে এলাকার অনেকে ড্রাগন চাষে আগ্রহী হচ্ছে।

মোস্তফা জামান বলেন, মূলত শখের বসেই ড্রাগন চাষ শুরু করেছিলাম। এখন বানিজ্যিকভাবে করছি। আলহামদুলিল্লাহ আয়ও ভালো হচ্ছে। বাড়িতে বসেই ড্রাগন পাইকারি এবং খুচরা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে আমার বাগানে ৮ প্রজাতির ড্রাগন গাছে ফল ধরেছে। তবে ভিয়েতনামের রেড ও তাইওয়ানের রেডে এখনও ফল ধরেনি। আগামী মাসের মধ্যে এই দুই জাতের গাছেও ফল আসবে বলে আশা করি।

মোস্তফা জামানকে অনুসরণ করে নীলগঞ্জের চাষি সিদ্দিক গাজীও ড্রাগন চাষ শুরু করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ড্রাগন চাষে মোস্তফা সফল হয়েছেন। তার বাগান ঘুরে দেখেছি। পরিকল্পনা করেছি নিজেও একটি ড্রাগন বাগান করবো। আশা করি সফল হতে পারবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ বলেন, মোস্তফা জামান এখন সফল ড্রাগন চাষি। তার দেখাদেখি ইতোমধ্যে অনেক যুবক ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়েছেন। আমরা অনেক যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আশা করছি আগ্রহী এসব যুবকদের মাধ্যমে এ উপজেলায় ড্রাগন বাগানের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। আমি আশাবাদী।

Advertisement