Homeসব খবরজেলার খবরএকর প্রতি উৎপাদন ১৪ টন, করলা চাষে শফিকের চমক

একর প্রতি উৎপাদন ১৪ টন, করলা চাষে শফিকের চমক

করলা চাষে শফিক মিয়ার সফলতা দেখে অনেকেই এই উচ্চফলনশীল করলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের কৃষক শফিক মিয়া হাইব্রিড ‘টিয়া সুপার’ করলা চাষে সফল হয়েছেন। এই উপজেলার মাটি সবজি চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলন বেশি হয়।

বনগাঁও নিরাপদ সবজির গ্রাম হিসাবে পরিচিত। এই গ্রামের অধিকাংশ পরিবার কৃষির ওপর নির্ভরশীল। সারা বছর এই গ্রামে উৎপাদিত হয় বিষমুক্ত নানা জাতের সবজি। শফিক মিয়ার এই অধিক ফলনশীল ও আকর্ষণীয় হাইব্রিড করলা চাষের সফলতায় অন্যান্য কৃষকদের মাঝেও সাড়া জাগিয়েছেন। শফিক মিয়ার করলা চাষে সফলতা দেখে ওই গ্রামের বেকার-যুবকসহ অনেকেই এখন করলা চাষে ঝুঁকছেন। অল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় করলা চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন ওই এলাকার অনেক কৃষক।

কৃষক শপিক মিয়া বলেন, আমি আড়াই বিঘা জমিতে পরিক্ষামূলকভাবে হাইব্রিড জাতের করলা চাষ করেছি। চারা লাগানোর ৪৫ দিনের মাথায় করলা সংগ্রহ করা যায়। বর্তমানে আমার জমির মাচায় করলার সবুজের সমারোহ। একেকটি করলা ২৫০-৩০০ গ্রাম ওজনের হয়। করলা চাষে বাম্পার ফলন পেয়েছি। বাণিজ্যিকভাবে হাইব্রিড করলা চাষ লাভজনক। একর প্রতি হাইব্রিড করলা উৎপাদন হয় ১২-১৪ টন। করলা চাষে আমার ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। জমি থেকে প্রতি কেজি করলা ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছি। আশা করছি ১ লাখ টাকার বেশি করলা বিক্রি করতে পারবো। এখন পর্যন্ত ৮৫ হাজার টাকা করলা বিক্রি করেছি।

আরেক কৃষক রজত দেব বলেন, শফিক মিয়া হাইব্রিড করলা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। মাত্র দেড় মাসেই করলার ফলন পাওয়া যায়। তার সফলতা দেখে অনেকেই করলা চাষে ঝুঁকছেন।

কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহদত আহমেদ বাবুল জানান, হাইব্রিড জাতের করলা খুব ভালো জাতের বীজ। ফলের ওজন ভালো। আমরা করলা চাষে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করছি। এই জাতের বীজ ব্যবহার করলে কৃষক লাভবান হবে বেশি।

Advertisement